গাজীপুরে বন দখল করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের গড়ে তোলা কলোনী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ভেঙ্গে দিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার। অভিযানে বনে নির্মিত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে যৌথবাহিনীর সদস্যরাসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে গাজীপুর সদর উপজেলার গুচ্ছগ্রামে ৩ একর ২০ ধারায় গেজেটভুক্ত বনভূমি উদ্ধার করা হয়।
কে এই শাহ মো. ওমর ফারুক
তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি। তার নেতৃত্বে গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিগত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে দিবালোকে বন দখল হয়ে আসছে। ওমর ফারুকের নেতৃত্বে বন দখলের তার অন্যতম সহযোগী বাতেন ও সাত্তার মোল্লা। বিগত হাসিনা সরকারের আমলে বন দখলে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ওমর ফারুক। তার উস্কানিতে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর বেশ কয়েকবার হামলা চালায় বনখেকোরা। বিগত ৫ আগস্টের পর গাজীপুর সদর উপজেলার গুচ্ছগ্রামে ওমর ফারুকের দখলে থাকা এক একর ২০ ধারায় গেজেভুক্ত বনে বেশ কয়েকটি বাড়ী নির্মিত হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওমর ফারুক তার দখলে থাকা বনভূমি ছোট ছোট প্লট আকারে বেশ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। পরে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বিক্রি হওয়া বনে অবাধে ঘরবাড়ী ও দোকানপাট নির্মিত হয়। এ সময় বন দখলে বাধা দিতে গিয়ে দফায় দফায় হামলার শিকার হয় স্থানীয় বনকর্মীরা। পরে বনকর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগ বুঝে ওমর ফারুকের ক্যাশিয়ার খ্যাত বাতেন ও সাত্তার মোল্লা লাখ লাখ নগদ টাকার বিনিময়ে বনে চুক্তি করে বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেয়।
এ ব্যাপারে শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের মুঠোফোনে কল করলে তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান।
কেকে/এজে