বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উচ্চফলনশীল এবং স্বল্পজীবনকালীন বিনা সরিষা-৭ জাত উদ্ভাবন করেছে। এই জাতটি প্রতি হেক্টরে সর্বোচ্চ ২.৮ টন ফলন দিতে সক্ষম। যা বিনা সরিষা-১১ জাতের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিনা মিলনায়তনে কৃষক ও কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই তথ্য জানান গবেষকরা।
এছাড়াও কর্মশালায় গবেষকরা বিনা সরিষা-৭ জাতের চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ, সারের সঠিক প্রয়োগ, পরিচর্যা ও সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকা দমন, ফসল কর্তন, বীজ শুকানো ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঞা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ইকরাম উল হক।
ড. মো. ইকরাম উল হক বলেন, চর ঈশ্বরদিয়া অঞ্চলের মানুষদের নিয়েই আজকের এই আয়োজন। এই অঞ্চলের মানুষ বিনা ধান চাষ করে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাই, বিনা সরিষা জাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের মানুষকে যেনো ভুক্তভোগী না হতে হয়, তাই আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে আপনারা বীজ সংরক্ষণ বিষয়েও জানতে পারবেন। আপনারা সরিষার বীজ ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে তা পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন, লাভবান হবেন। পাশাপাশি সকলকে অনুরোধ করছি, ফসল উৎপাদনের পূর্বে ও আবাদের সময় সকল কৃষকই যেনো যেকোনো বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহিত য়োগাযোগ রক্ষা করে। তাহলে সঠিক সময়ে সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সরিষার কাঙ্খিত ফলন পাবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিনার বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের সদস্য মো. শরিফুল আলম সোহেল, গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোছা. নাছরিন আক্তার বানু।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিনার ফলিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের পিএসও এবং প্রধান ড. শামীমা বেগমসহ ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদিয়া অঞ্চলের অর্ধশতাধিক কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে