উন্নয়নের মহাসড়কে অথবা সরকার বদল। কোনভাবেই ভাগ্য বদলায়নি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের। চিলমারী ইউনিয়ন এবং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সরেজমিনে দেখলে মনে হবে আশির দশকের কোন গ্রাম।
আধুনিক ব্যবস্থা বলতে পল্লি বিদ্যুতের সংযোগ। অথচ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও শিক্ষার হার চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়নি এখনো। ছোট্ট দুইটি সেতুর অপেক্ষায় চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত জীবনযাত্রা চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। নারী, শিশু অথবা বৃদ্ধ সবাই যেন এভাবেই অভ্যস্ত।
মহিষকুন্ডি খেয়া ঘাট থেকেই শুরু হয় পায়ে হেটে অথবা নৌকা বা মটরসাইকেলে যাত্রা। কয়েক মাইল যাত্রার পরেই আরেক বাধা সুকার ঘাট। শুষ্ক মৌসুমে হাটাচলা করা গেলেও বর্ষায় একমাত্র নৌকায় ভরসা দীর্ঘ পথে। শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা যেন জীবন যুদ্ধের নিয়মিত সঙ্গী। পদ্মা নদীর শাখা প্রশাখার দুটি ঘাটই যেন রীতিমতো বিষ ফোঁড়া।
এ অঞ্চলের পশ্চিম অংশে বিরাট এলাকা জুড়ে রয়েছে তারকাটা বিহিন ভারতীয় সীমানা। নিরাপত্তা বলয় বলতে একেবারে শেষাংশে রয়েছে একমাত্র উদয় নগর বিজিবি ক্যাম্প।
বিজিবি সিও ৪৭, মাহবুব মূর্শেদ রহমান বলেন, এটা যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু কার্যক্রম আছে। এটাকে আমরা সহযোগিতা করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।
কুষ্টিয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুকার ঘাটের সেতুটি তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আর মহিষা কুন্ডি খেয়া ঘাটের সেতুটি প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ মিটার লম্বা, এটা তালিকাভুক্ত করার চেষ্টায় আছি। কীভাবে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য এই সেতুটি তালিকাভুক্ত করা যায়।
কেকে/এজে