বন্যায় ভাঙ্গা এলজিইডির সড়ক, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাত গ্রামের মানুষের
এম কামাল উদ্দিন, রাউজান, এলজিইডি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:০৮ পিএম (ভিজিটর : ৬৫)
ছবি: রাউজানে বন্যায় ভাঙ্গা এলজিইডির সড়কে সাকোঁ দিয়ে পারাপার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্ষার ভারী বৃষ্টিতে কর্ণফূলী ও হালদার জোয়ারের পানির স্রোতে এলজিইডির তালিকাভুক্ত সড়কের একটি স্থানে প্রায় ৪০০ মিটার অংশ ভেঙ্গে জমির সঙ্গে মিশে যায়। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে আরও অন্তত ২০০ মিটার অংশে একই অবস্থা হয়। এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির যে ৪০০ মিটার মোকামীপাড়া অংশটি ধসে পড়েছে। এর মধ্যে সড়কটির সামমাহালদার পাড়া, ছামিদর কোয়াং তিন গ্রামের আর পাঁচটি স্থানে সড়ক ধসে একেবারে পাশের জমির সঙ্গে মিশে গেছে, সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর বর্ষা এলেই পাঁচ থেকে সাতবার ভাঙ্গে দুই কিলোমিটার সড়কটি। যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিবছরই এলাকার কিছু তরুণ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি সংস্কার করেন। অন্তত ১০ বছর ধরে এভাবে চলে আসছে গ্রামবাসির উদ্যোগে সড়ক সংস্কার। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বা স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, আমরা বন্যার পর সড়কটি পরিদর্শন করেছি। এখানে আরসিসি ঢালাই এবং নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের জন্য এলজিইডির সদর দফতরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ করা হবে।
রাউজান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, বন্যায় এ উপজেলায় সড়ক যোগাযোগসহ ৮৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশী ক্ষতি হয়েছে। মোকামীপাড়া সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই করা হবে।
কেকে/এমএস