সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুরে জামান চৌধুরী বলেছেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখন আমাদের দেশ গড়ার সময়। শহীদদের ত্যাগ, আহতদের আর্তচিৎকার স্মরণ করলে জাতি কখনো ভুল পথে চলতে পারবেনা।
মঙ্গলবার দুপুরে জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের
পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণসভা, দোয়া ও আর্থিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার শপথ গ্রহণ করতে হবে। সকল বিভাজন-অরাজকতা ত্যাগ করে মানবিক দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে জাতির প্রাণশক্তি ছাত্ররা আমাদের পথ দেখাবে।
সভায় আহত ও নিহতদের স্বজনরা স্মৃতিচারণমুলক নানা বক্তব্য তুলে ধরেন। আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেক ছাত্রও নিজের দুঃসহ দিনগুলোর তথ্য উপস্থাপন করেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম মস্তুফা মুন্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজি শারমিন নেওয়াজ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমেদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার সহ-সমন্বয়ক শাহরিয়ার ইমন সানি।
প্রধান অতিথিসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবের বড় ভাই জাবুর আহমদ পুলিশের গুলির পর কিভাবে তিনি প্রশাসনিক হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং ভাইয়ের জানাযার নামাজসহ দাফন কাজেও আইনশৃংখলা বাহিনীর অমানবিকতার তথ্য জানান।
পুলিশের গুলিতে নারায়নগঞ্জে নিহত চারখাইয়ের সোহেল আহমদের পিতাও আবেগতাড়িত কণ্ঠে তার ছেলেকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান দেলোওয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট আহমদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলাম, নায়েবে আমির আবুল খায়ের, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, পৌর আমির মাওলানা জমির হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজমুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ ওমর প্রমুখ।
কেকে/এমআই