রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১১ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা      জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি মঙ্গলবার      গণপরিবহন নৈরাজ্যে ভুগছে ঢাকাবাসী      দুষ্কৃতকারীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে: র‍্যাব      গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে বিভক্ত দায়িত্বশীলরা      ডেভিল হান্টের মধ্যেও সক্রিয় অপরাধীরা      মাইকিং করে চাঁদা চেয়ে বহিষ্কার হলেন সেই যুবদল নেতা      
গ্রামবাংলা
আ. লীগ নেতার চাঁদা দাবি , অস্বীকার করায় বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ
ফারুক আহম্মেদ মোল্লা, শরীয়তপুর
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১৩ পিএম  (ভিজিটর : ৫৩৬)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের জাজিরায় এক অসহায় পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই বাড়িতে লোকজন নিয়ে হামলা করে সীমানা প্রাচীর ও ঘর ভাংচুর করা হয়েছে।

জাজিরা পৌরসভার আক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দি এলাকার মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযুক্ত বিএম শামসুল হক (শামচু বেপারী) জাজিরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪০ বছর যাবত জাজিরা পৌরসভায় আক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দি এলাকায় নিজ জমিতে বহুতল পাকা ভবন ও টিনের বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান মুন্সি ও মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের পরিবার। হঠাৎ করে সেই বাড়ি ও জমিতে চোখ পরে জাজিরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএম শামসুল হকের। তিনি সেই বাড়ি দখলের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে তখনকার সংসদ সদস্যের পরামর্শে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কাগজপত্র যাচাইবাছাইপূর্বক জমিটি পরিমাপ করে বুঝায়ে দেয়ার আবেদন করেন খলিলুর রহমানের পরিবার। সেই মোতাবেক  উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার  দলিল এবং সমস্ত কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে প্রমান হয় সমস্ত জমি ও বাড়ি খলিলুর রহমানের পরিবারের। তারপরও আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে মুন্সি পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করেন।

২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ও ২২ নভেম্বর মুন্সি পরিবার থানায় দুইটি সাধারণ ডায়রিও করেন। পাশাপাশি ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মুন্সি পরিবার। পরে বিআরএস ৮০ নং খতিয়ানের ৪৩ নং দাগের জমিতে জোর করে প্রবেশকরা, জমির রুপ পরিবর্তন করা, বেদখল করা বা শান্তিপূর্ন ভোগ দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা থেকে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ করে আদালত।
 
তবুও গেল ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট বিকেলে খলিলুর রহমানের মা হালিমা বেগমের কাছে লোকজন পাঠিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন আওয়ামী লীগ নেতা শামচুল হক। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রাত ৯টার দিকে বিএম শামসুল হক, কাউসার আহমেদ শান্ত ও কাইয়ুম আহমেদ সাম্য, দেলোয়ার বেপারীসহ লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খলিলুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে বাড়ির ভিতরে ঢুকে  ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে প্রশাসন এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে গত ১২ নভেম্বর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বাদি হয়ে জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী বাদি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শামসুল হকদের ভয়ে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। তাই থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিএম শামসুল হকের বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি নিরাপত্তায় বসবাস করতে চাচ্ছি।

স্থানীয় মানজারুল ইসলাম মিলন ও শহিদুল ইসলাম শাওন বলেন, যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিন ঘটনাস্থলে আমরা আসি। দেখতে পাই বিএম শামসুল হকের লোকজন মুন্সি বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করছে ও ইট পাটকেল ছুড়ছে। আমরা শুনেছি যারা হামলাকারী, তারা বলছে ১০ লাখ টাকা না দিলে এই বাড়িতে বসবাস করা অসম্ভব। জমি ও হামলার বিষয় নিয়ে যখন একটি বিচার শালিসির ব্যবস্থা হয় তখন শামসুল হক উপস্থিত থাকেন না। বিভিন্নভাবে মুন্সি পরিবারটিকে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে শামসুল হক। আমরা এর সমাধান দেখতে চাই।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাজিরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএম শামসুল হক বলেন, আমি বা আমার লোকজন তাদের বাড়িতেই যায়নি, চাঁদা দাবি করবো কিভাবে? তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, ক্রয় সূত্রে ওইখানে ৬ দশমিক ৬৬ শতক জমির মালিক আমি। কিন্তু আমার নামে রেকর্ড না হয়ে ওই জমি সবগুলো স্থানীয় মান্নানের নামে রেকর্ড হয়। এই ব্যাপারে আমি ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর  আদালতে মামলা করছি। আমার ক্রয়কৃত যায়গায় মুন্সি পরিবার সীমানা প্রাচীর করেছে। তারা সীমানা প্রাচীর করলে আমার মামলাতো দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে সবাই ভাববে আমি দখলে নাই। তাই সীমানা প্রাচীর ভেঙেছি।
 
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেকে/এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  আ. লীগ নেতার চাঁদা দাবি   হামলা-ভাংচুর   জাজিরা পৌরসভা  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি মঙ্গলবার
আ.লীগের অর্থদাতা বাবুলের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
গণপরিবহন নৈরাজ্যে ভুগছে ঢাকাবাসী
বিয়ে বাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১

সর্বাধিক পঠিত

বাকৃ‌বি‌তে জন্ম নি‌রোধকসহ ৫ ছিনতাইকারী আটক
শাবি ক্যাম্পাসে কর্মীসভার অনুমতি না পাওয়াকে ষড়যন্ত্র বলছে ছাত্রদল
মৌলভীবাজারে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬৬ লাখ টাকা লুট
লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝