বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে এবং জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুথানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও সন্ধা ৬টায় একাডেমিক ভবনের উন্মুক্ত মঞ্চে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মরণ সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা আন্দোলনের দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ এবং আন্দোলন পরবর্তী নানা ঘটনাপ্রবাহ ও তার প্রেক্ষাপট আলোকপাত করেন। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান। এছাড়াও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, ছাত্র উপদেষ্টা ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরাফত আলী, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু সালেহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মজনুর রশিদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরু থেকেই ক্ষমতায় যারা এসেছে, তারা কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। বরং বিভিন্ন দেশের পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করেছে। ফলে নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। সেই জায়গা থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাগিয়েছে। তাই যা কিছুই ঘটুক, বৈষম্যবিরোধী চেতনা জারি রাখতে হবে। যাতে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে আর কখনো বৈষম্য ফিরে না আসে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্গঠনে অবশ্যই কাজ করবো। সেজন্য সময়, শ্রমের সাথে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যদি সাম্য-সার্বভৌমত্ব চাই, তাহলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ না করে একত্রিত থাকতে হবে। মান অভিমানে আলাদা হয়ে গেলে কখনো সুফল পাবো না। বিপ্লব আমাদের শোধরানোর জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। কাজেই দেশপ্রেমে বলিয়ান হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেসে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার শপথ নিতে হবে।
কেকে/এজে