প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:২৪ পিএম আপডেট: ২৮.১১.২০২৪ ৩:২৭ পিএম (ভিজিটর : ১৫২)
ছবি: প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা দুই যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ মুরাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন-শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চক সাহাবদ্বী এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে এ.এইচ.এম অপু হোসাইন (২৫) ও টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার মিরকুমুল্লী এলাকার শহিদুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বুধবার কুষ্টিয়ায় পুলিশ ট্রেনিং রিক্রুটকনস্টেবল(টিআরসি) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা হতে একটি চক্র কুষ্টিয়ায় এসেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান গেটের সামনে এক যুবক সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ.এইচ.এম অপু হোসাইন নামে ওই যুবক জানায় তার সাথে আসা ইমরান হোসাইন নামে আরেক যুবক লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গেছে। পরে পরীক্ষা শেষে ইমরান হোসাইনকে ডিবি পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান পুলিশকে জানায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া এলাকার বাদশা ইসলামের পরিবর্তে কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসেছিল। এর জন্য বাদশার সঙ্গে জামালপুর জেলার আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তির সাথে ৭০ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
ডিবি পুলিশ আরো জানায়, মোট চারজন টাঙ্গাইল থেকে মঙ্গলবার রাতে রওনা দেয়। গতকাল বুধবার সকালে দুইজন কুষ্টিয়াতে নেমে পড়ে। বাকি দুইজন যশোর জেলায় যায়। যশোরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সেখানে যাওয়া সরোয়ার হোসেন ও রাসেলকেও ডিবি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলহাজ হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) মুরাদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেকে/এমএস