বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের দায়ের করা মামলার মো. আলম ও মো. ইমরান নামে দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীরা জামিনের জন্য আবেদন করে হাজিরা প্রদান করলে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক দুই আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, দুপুরে বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়েরকৃত নাশকতার একটি মামলায় এই দুই চেয়ারম্যানসহ সর্বমোট ১০ জন হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক শুনানী শেষে ৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলার আসামী মো.আলম কোম্পানী ও মো. ইমরান এর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরো জানা যায়, জেল হাজতে প্রেরণকৃত আসামী মো.আলম বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মোহাম্মদ ইমরান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর নাইক্ষংছড়ি সদর ইউপির বিছামারা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে এই দুই চেয়ারম্যানসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আলমগীর হোসেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত দুইজনের জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাশকতার মামলায় আদালতে ১০ আসামীর জন্য জামিনের আবেদন করা হয়েছিল, আদালত ৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলার আসামী মো. আলম কোম্পানী ও মো. ইমরানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১০ নভেম্বর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির বিছামারা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ৬৮ জন নেতা-কর্মীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে আর সর্বশেষ এই মামলায় গত ২৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
কেকে/এমএস