কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধের দাবীতে বিভিন্ন প্লেকাড ফেস্টুন নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে এলাকার মানুষজন। তাদের দাবী ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি রক্ষা করা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উলিপুরের সাহেবের আলগা ইউনিয়নের সুখের বাতি চরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সাহেবের আলগা ও পার্শ্ববর্তী রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার ও তীরবর্তী মানুষজন এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গেল কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়ে স্থানীয় কয়েক কিলোমিটার এলাকার বাড়িঘরসহ কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। গত দুই মাসে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী পাড়ে ভাঙন আতংকে আমরা বসবাস করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষা করা না হলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
সাহেবের আলগা ইউপি সদস্য নুরনবী প্রামানিক বলেন, সুখের বাতি আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীর তীরে চলে আসছে। যে কোন মহূর্তে নদী গর্ভে চলে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নদীপাড়ের মানুষের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, নদী ভাঙন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত দুই মাসে উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের সুখের চর, খেওয়ার চর ও রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারি, খাওরিয়া, নয়াপাড়া ও সোনাপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ও ১০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন আতংকে রয়েছে সুখের বাতি আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কেকে/এমএস