শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪,
২ কার্তিক ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম: এক হওয়ার আগেই বিচ্ছেদের পথে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক      ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করেছে জামায়াত-শিবির: জয়      সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জনের মৃত্যু: যাত্রী কল্যাণ সমিতি      সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙার কাজ করছি: আসিফ মাহমুদ      ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু      ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিতে দুই আড়তে দৈনিক ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে কর্পোরেট উৎপাদকরা      শতকোটি ব্যয়েও হয়নি মশা নিধন      
গ্রামবাংলা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, মোড়ে মোড়ে জটলা বাঁধা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম  (ভিজিটর : ২৯)

কয়েক মাস ধরে যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। মহাসড়কের ময়মনসিংহের ভালুকা অংশের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী থেকে শুরু হয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রতিটি মোড়ে মোড়ে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট জটলা। আর সেই জটলা জমে কিলোমিটারের পরে কিলোমিটার যানজটে মহাসড়ক হয়েছে স্থবির। এ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাত্র আট বছর আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটিকে দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হলে মহাসড়ক থেকে যানজট অনেকটাই দূর হয়ে যায়। তবে গত ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে সারা দেশে ঝিমিয়ে পড়ে পুলিশ বাহিনী। এর ফলে পুলিশের অনুপস্থিতিতে যানবাহন চালকরা কোনো ট্রাফিক আইন না মেনেই চলাচল করে আসছে। বিশেষ করে মহাসড়কে চলে এসেছে আঞ্চলিক সড়কে চলা সব অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলার। পাশাপাশি উল্টোপথে যান চলাচল, সড়কের মাঝখান থেমে যাত্রী ওঠানামা করা, মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং করে রাখা, সড়ক দখল করে বাজার, সড়কের মাঝে ভাসমান দোকান, সড়কের আশপাশের জায়গা দখল করে বালিসহ হরেক রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে সারা দেশের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পুলিশ কাজ করা শুরু করলেও সবার মধ্যে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে উদাসীনতা লক্ষণীয়। এদিকে জনবল সংকট থাকার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের বড় একটি অংশে রদবদল চলমান থাকায় আগের মতো মহাসড়কে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করতে পারছে না হাইওয়ে পুলিশ। এর ফলে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে তা নিষ্ক্রিয় করাসহ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। এদিকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে মহাসড়ক ঘিরে বেড়েছে ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন। শিল্প-কারখানার মালামাল পরিবহনসহ বাণিজ্যের অধিকাংশই নির্ভর করে এ মহাসড়কের ওপর। বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫-২০ হাজার যানবাহন আসা-যাওয়া করে থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশই পণ্য পরিবহনের যানবাহন। বিভিন্ন উৎসব কিংবা ছুটিকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। এর ফলে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানবাহন বিকল হয়ে গেলে কিংবা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যানজট বড় আকার ধারণ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানার শ্রমিক বিক্ষোভের কারণেও দুর্ভোগ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বিধিনিষেধ থাকার পরও নির্দেশনা মানছে না কেউ। উল্টো মহাসড়কের ওপর লেন দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাজার। যার মধ্যে শ্রীপুরে অংশে জৈনাবাজার, নয়নপুর বাজার, এমসি বাজার, মাওনা চৌরাস্তা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী, গাজীপুর সদর অংশের বাঘের বাজার, ভবানীপুর, পোড়াবাড়ী মাস্টারবাড়ী বাজার এলাকাগুলোতে সড়কের ওপর বিক্রেতারা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসায় তৈরি হয় চরম যানজট।

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায়, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে অবাধে চলছে তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন। মহাসড়কের হাইওয়ে পুলিশের সামনেই অবাধে চলাচল করছে এ যানবাহন। এ ছাড়া মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর নিচে, উভয় পাশেই অটোরিকশা, ভ্যানসহ ইজিবাইকের স্ট্যান্ড বানিয়ে রাখা হয়েছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমাদের বর্তমানে জনবল সংকট রয়েছে। শতাধিক জনবল থাকার কথা থাকলেও এখন মাত্র ৩০ জন দায়িত্ব পালন করছে, পরিবহন সংকটও আছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি। ট্রাফিক আইন অমান্য ও অবৈধ যানের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মামলা দিচ্ছি।

মহাসড়কে সংস্কারের বিষয়ে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম শরিফুল আলম বলেন, মহাসড়ক ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বাজার উচ্ছেদ করলেও ফের আবার বাজার বসে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের বেশিরভাগ গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মহানগর দায়রা জজের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
বাংলাদেশের ১ কোটি ভিডিও মুছে ফেলল টিকটক
তথ্যপ্রযুক্তি খাত দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে
হিট অফিসার মাসে বেতন পেতেন ৮ লাখ টাকা
আন্দোলনে প্রতিটি শহিদ পরিবার পাবে ৩০ লাখ টাকা: মাহফুজ

সর্বাধিক পঠিত

আইডিয়ালে ভাই-বোন ভর্তিতে শতভাগ কোটা চান অভিভাবকরা
তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি
হিট অফিসার মাসে বেতন পেতেন ৮ লাখ টাকা
আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার অবস্থান জানাল ভারত
দ্রব্যেমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝