দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, 'জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই পরাজয় ভারত যে সহজে মেনে নেবে না তার প্রমাণ প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছে দেশবাসী'।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ মিডিয়া অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের অনুসারীরা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে, তাই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
দেশের মূল ধারার মিডিয়ার কঠোর সমালোচনা করে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, পশ্চিমা মিডিয়ার ইসলামোফোবিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করছে দেশের গণমাধ্যম। ইসকন ইস্যুতে দেশের মূলধারার মিডিয়া ছাড়াও বিবিসি ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম একপেশে এবং বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করছে। পাশাপাশি ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করলেও দেশের মিডিয়া হাউসগুলো তার প্রতিবাদ করেনি। কারণ স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। যে কারণে যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমার দেশের মতো স্বতন্ত্র মিডিয়া হাউসগুলোকে টিকে থাকতে দেওয়া হয়নি।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিকুজ্জামান রুমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব, রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন, সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সারাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম রিমনের উপস্থাপনায় এ মিডিয়া অলিম্পিয়াডে
সারাদেশ থেকে বিভিন্ন কলেজের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন এই মিডিয়া অলিম্পিয়াডে। অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার জন্য পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়।পরে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত সেরা ২০ জন বিজয়ীর মাঝে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কেকে/এইচএস