শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকায় মুর্শিদপুর পীরের দরবারে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রথম দফায় হামলার সময় সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু হয় বুধবার। এর জেরে বৃহস্পতিবার আবার দরবারে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে সেখানে লুটপাট চালাচ্ছিল একটি গোষ্ঠী। শুক্রবার দুপুরে তাদের ধাওয়া করেন পীরের অনুসারীরা। এ সময় লুটের মালপত্র নিতে আসা কয়েকটি গাড়িতে তারা অগ্নিসংযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার দরবারের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার পর আসবাব, গবাদিপশু, কাঠ, টিন, ধান-চালসহ টাকা লুট করে। গতকালও লুটপাটকারীরা পিকআপ ভ্যানসহ কিছু গাড়িতে মালপত্র নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে পীরের কয়েকশ অনুসারী জড়ো হয়ে দুপুরে ধাওয়া করেন। পরে মালপত্র বোঝাই ৮-১০টি গাড়িতে আগুন দেন।
সূত্র জানায়, শুক্রবার পীরের অনুসারী ভক্তদের ‘লংমার্চ কর্মসূচি’ এবং প্রতিপক্ষের প্রতিরোধের ঘোষণায় এলাকায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পরে লংমার্চ স্থগিত করা হয়। দরবারে যাওয়ার সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। আতঙ্কে শেরপুর-জামালপুর সড়কের কুসুমহাটী বাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দরবার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
বিকেলে ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির পরিচালক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শেরপুর সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম জানান, দু’পক্ষই এলাকায় অবস্থান করছে। একজনের মৃত্যু ও দরবারে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এমআই