রামুতে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানা যায়, গরু বিক্রির টাকা নিয়ে রামু থেকে ঘরে ফিরছিলেন কচ্ছপিয়ার বালুবাসা গ্রামের তিন বন্ধু। শনিবার রাত ১১টায় তাঁরা বালুবাসা রাস্তার মাথায় পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। এতে বাঁধা দিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। এসময় গুলির শব্দ এবং রামু থেকে আসা রিমন ও আনসার উল্লাহর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। পরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন প্রচন্ডভাবে আহত হন। বাকি সদস্যরা অস্ত্র ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাহাব উদ্দিন ও ছিনতাইয়ের শিকার রিমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এ এসআই রুবেল দেব নাথ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় সাহাব উদ্দিন ও রিমনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সাহাব উদ্দিন দলবল নিয়ে এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। তার পরনের জ্যাকেট থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি আইসের প্যাকেট পেয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে নিহত সাহাব উদ্দিনের নিকটাত্মীয় সালাহ উদ্দিন বাবু বলেন, শনিবার রাতে একটি ফোন আসে সাহাব উদ্দিনকে বালুবাসা গ্রামে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তারা জানেন না। সাহাব উদ্দিনকে প্রচন্ডভাবে প্রহার করা হয়েছে। মাথা ও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সে মারা যায় বলে তাদের দাবি।
রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত সাহাব উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীরা শীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে।
কেকে/এইচএস