শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইউএনও'র বাধায় বালু ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নালিতাবাড়ী শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জিলানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কাদির জিলানী নালিতাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের জন্য জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের তার নিজ বাস ভবনে ডাকেন।
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে ইউএনও মাসুদ রানা (সহকারী কমিশনার ভূমি) ও স্ব-শরীরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের স্থানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে থেকে বালু ব্যবসায়ী জিলানী ও অপর ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদকে সংবাদ সম্মেলন করার অপরাধে আটক করতে আসেন। এসময় সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে কিনা সেটি জানতে চাইলে ইউএনও বিষয়টি পরে জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মোবাইল কোর্ট করে বালু উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করেন। এছাড়া নিলামে আটককৃত বালু অনিয়মের মাধ্যমে ৬ কোটি টাকার বালু মাত্র ৯৪ লাখ টাকা বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে নিজে লাভবান হন। তারই নির্দেশে ইজারাকৃত জায়গার বাইরে নিলাম গ্রহিতারা অবৈধভাবে মিনি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বালু ব্যবসায়ী জিলানী ইউএনও কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও মোবাইল কোর্টে হয়রানীসহ নানা অভিযোগে তাকে হেনস্তা করার আশংকা প্রকাশ করেন। আশংকা প্রকাশ করার পরপরই ইউএনও ও এসিল্যান্ড পুলিশ নিয়ে হাজির হন। এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলন কারীদের উঠিয়ে আনতে চেষ্টা করলে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখে তাকে রেখে যেতে বাধ্য হন।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
কেকে/এজে