চলছে আলু রোপনের ভরা মৌসুম।বেড়েছে শ্রমিক সংকট। আর এ মৌসুমে নারী শ্রমিকের চাহিদা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সর্বত্র নারী শ্রমিক নিয়ে টানাটানি চলছে। বেড়েছে নারী শ্রমিকের কদরও।
কৃষকরা জানান, আমন ধান কাটার পর এসব জমিতে আলু চাষ করা হয়। প্রায় ৩ মাস পর জমি থেকে আলু উত্তোলন করা হবে। এরপরই জমিতে বোরো ধান চাষ করবে কৃষকরা। আলু তাদের জন্য বাড়তি ফসল। চারিদিকে আলু রোপনের মহোৎসব চলছে। দম ফেলার সময় নেই। নারী পুরুষ সবাই ব্যস্ত। এ কারণেই পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে।
তারা আরও জানান, আলু রোপনের জন্য পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকরাই ভাল। দামও কম কাজও ভাল। যেখানে পুরুষ শ্রমিকের মজুরী ৬০০ টাকা সেখানে নারী শ্রমিকের মজুরী ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে দিচ্ছে কৃষকরা। তবে কৃষকরা বলেন, নারী শ্রমিকদের ২/৩ দিন আগে বলার পরও ঠিকমত কথা রাখছে না। এ কারণে আলু রোপন কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া মহিলারা যেখানে বেশী মজুরী পাচ্ছে সেখানেই যাচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা দল বেঁধে আলু রোপন কাজে ব্যস্ত। সকাল হলেই দল বেঁধে মহিলারা যাচ্ছে কাজে। সন্ধ্যার আগে ফিরে আসে।
কিসামত গ্রামের কৃষক আলামীন বলেন, শ্রমিক সংকটের কারনে আলু এখনো আলু রোপন করতে পারছি না।
হাবু গ্রামের রেনু বালা, মরিয়ম, রোকসেনা, কুলসুম বলেন, ১৫/২০ দিন একটু কাজ বেশী। তারপর আর আমাদের খবর কেউ নেয় না।
কিসামত হাবু গ্রামের কৃষক সামসুল আরেফিন বলেন, মহিলা শ্রমিক না পাওয়ায় আলু রোপন পিছিয়ে যাচ্ছে। কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক সোবহান জানান, দু’দিন আগে মহিলা ঠিক করলেও অনেকেই আসে না অন্য কেউ এসে তাদের নিয়ে নেয়।বলার কিছুই থাকে না।
কেকে/ এইচএস