প্রথমবারের মতো সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। শনি ও রোববার দুই দিনে আটটি শিশুর দেহে এ অস্ত্রোপচার চালানো হয়। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রিজওয়ানা রিমার নেতৃত্বে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এএসডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভিএসডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পিডিএর (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস) চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এ ডিভাইস লাগানো হলো।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও লন্ডনের মান্তাদা এইড এর যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই অপারেশন সম্পন্ন করতে ওসমানী হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের এবং শিশু মেডিসিন বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের সার্জারি করা হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও লন্ডনের মান্তাদা এইড যৌথভাবে এই ডিভাইস বসানো কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ডা. রিজওয়ানা রিমা এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন করেন। তার সঙ্গে ১০ জন চিকিৎসকের একটি টিম এসেছে। সবাই ফ্রিতে চিকিৎসা দিয়েছেন। ডিভাইসের খরচ দিয়েছে মান্তাদা এইড। ওসমানী হাসপাতালের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি আমরা। আটজন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো সম্পন্ন হয়েছে। সবাই ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার তিনটি হৃদরোগের হাসপাতাল ছাড়া এর আগে দেশের আর কোথাও এই অপারেশন হয়নি। এ ধরনের রোগী আসলে আগে আমরা ঢাকায় রেফার করে দিতাম। যেটা একজন রোগীর পরিবারের জন্য অনেক ব্যয় বহুল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে আমরা যদি এই কার্যক্রম চালু রাখতে পারি সেজন্য মান্তাদা এইড এর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি । তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করবেন।
কেকে/এইচএস