ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি।
গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ছয় বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান করায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা আকাশচুম্বি হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় রোববার আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান তারেক রহমান। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় সিলেটের আদালতেও খালাস পান তিনি। বিগত সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি উজ্জীবিত।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। নেতাকর্মীরাও রাজনৈতিক মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন। সবশেষ গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ছয় বছর পর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আর এ কারণেই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস দেওয়ায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে আনন্দ মিছিল বের হয়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইট এঙ্গেল মোড় ঘুরে আনন্দ মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেয হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই রায়ে প্রমাণ হলো, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলাতে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল। ঐতিহাসিক রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সকল মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।
হাইকোর্টের রায়কে বিজয়ের মাসের ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তির একটি সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া লাখ লাখ মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
কেকে/এইচএস