যেখানেই আগ্রাসন, সেখানেই প্রতিরোধ বলে মন্তব্য করে শিক্ষার্থীদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
সোমবার (২ ডিসেম্বর ২০২৪) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জিরো পয়েন্টে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলন চলবে, যতদিন পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত আসবে ছাত্ররা ততদিনই জেগে থাকবে। যেখানেই আগ্রাসন, সেখানেই প্রতিরোধ। আর এই প্রতিরোধ আন্দোলনে আমরা তোমাদের পাশে আছি। এই বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিলো যেন হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন রোধে যেন তারা মানুষ হিসেবে বসবাসের সুযোগ পায়। এই বাংলাদেশ পাকিস্তান হবে না, ভারতও হবে না। এই বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে। আমরা যারা বাংলাদেশপন্থী, তারা এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিবো। আমরা মুসলমানরা জানি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। আমরা মরে গেলে শহিদ হবো। আমাদের পতাকা ছিঁড়ে কলিজায় আঘাত হানা হয়েছে। আমরা কোনো ভাবেই এই আগ্রাসন সহ্য করবো না। এই প্রতিবাদ প্রতিরোধে আমরা শিক্ষকরা পাশে আছি।’
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘দাদাবাবুদের প্রেসক্রিপশনে আর দেশ চলবে না। তোমরা গত ষোল বছর যেভাবে বাংলাদেশকে চালিয়েছো, সেভাবে আর চলবে না। তোমাদের দাসত্ব করার জন্য আমরা রক্ত দিইনি। যারা তোমাদের গোলামী করতো, তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। নতুন কেউ দালালি করতে এলে, তাদেরকেও পালাতে হবে। বাংলাদেশের হাই কমিশনে হামলা করে স্পষ্ট যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমাদের আবরার, আমাদের দুই হাজার শহিদ দিল্লি বা গুজরাটের দাসত্ব করার জন্য জীবন দেইনি। আমরা জানিয়ে রাখতে চাই, আমরা এখনো ঘুমিয়ে যাইনি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা মাতৃভূমির জন্য সদা জাগ্রত।’
কেকে/এমআই