সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫,
১ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি মোটিফটি সামনে রেখে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা      আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী      বর্ষবরণে বর্ণিল আয়োজনে ‌‌‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু       অহিংসবাদ সম্প্রীতি ও হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান      পিএসএলে প্রতি ছক্কা-উইকেটে ফিলিস্তিনিদের জন্য ১ লাখ রুপি ঘোষণা      আছিয়া ধর্ষণ মামলার চার্জশিট আজই দাখিল করা হবে: আইন উপদেষ্টা       টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা      
গ্রামবাংলা
হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা মাছ ধরার দৃশ্য
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩৬ পিএম  (ভিজিটর : ২৪৫)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

কালের বিবর্তনে ব্যস্ত জীবনে থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার খাল-বিল, খেত-খলার পানি শুকিয়ে মাছ ধরার চিরচেনা দৃশ্য।

বর্ষায় গ্রাম বাংলার নিচু জমি, খাল-বিল, ডোবা-নালা পানিতে ডুবে যেতো আবার হেমন্তের শুরুতে পানি নেমে যাওয়ার পর গ্রামের মানুষ সেখানের বিভিন্ন পদ্ধতি (সেচ পাম্প/কৃত্রিম পদ্ধতি) ব্যবহার করে পানি শুকিয়ে মাছ ধরতেন। সেই সময়ের মাছ ধরার দৃশ্য এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না।

একসময় খাল-বিল, পুকুর-ডোবা আর খেত-খলা শুকিয়ে এলে গামলা দিয়ে চলে সামান্য পানি সেচার কাজ। আর পুকুর-ডোবার পানি সেচা হয় পাম্প মেশিন দিয়ে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর চলে মাছ ধরার উৎসব। এসময় মাছ ধরার উৎসবে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতেন গ্রামের মানুষ। রীতিমতো আনন্দ উল্লাস করে লোকজন পুকুর-ডোবা, খাল-বিলের শূন্য পানির কাদার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তুলে আনে একের পর এক মাছ। সেচ দেয়া পুকুরে চাষ করা মাছের পাশাপাশি পাওয়া যায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন রকমের মাছ। আর ক্ষেত-খলা ও ডোবায় মেলে শোল, টাকি, পুঁটি, খলসে, কৈ, মাগুর, শিং, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ।

কাদায় মাছ ধরার দৃশ্য দেখা মিলল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউপির বাহেরচর গ্রামসহ কয়েকটি এলাকার খাল-বিল ও খেত-খলায়। সেটাও তুলনামূলক ভাবে খুবই কম।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও মাছ শিকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে নদ-নদী, খাল-বিলের পানি কমে যাবার সাথে সাথে শুকিয়ে যেতে থাকে ডুবে থাকা খেত-খলা। পানি শুকিয়ে যাওয়ার এসব স্থানে আটকা পড়ে নানা রকমের দেশীয় মাছ। আর সে সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে কাদা পানিতে নেমে হাত দিয়ে মাছ শিকার করি। কিন্ত নদীতে মাছ না থাকায় ডোবা-খালে এখন প্রায় মাছ শুন্য।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বর্ষাকাল শেষে পানি কমে গেলে এই এলাকার নিচু জমিগুলোতে এমন মাছ ধরার উৎসব চলতো। সেই উৎসবে মাছ ধরায় মেতে উঠতো নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই। কাদা পানিতে নেমে কে কতো বেশি মাছ ধরতে পারে, এই নিয়ে চলতো প্রতিযোগীতা।

তারা আরও জানান, আগে এমন করে নানা জাতের দেশীয় মাছ প্রচুর ধরা গেলেও, এখন আর সেদিন নেই। নেই মাছের সে প্রাচুর্য। প্রতিনিয়ত মাছের অভয়ারণ্য কমে যাওয়ায় আগের মতো জমে ওঠেনা মাছ ধরার উৎসব। দেশীয় মাছের উৎসগুলো ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

ছলিমাবাদ ইউপির হোসেনপুর এলাকার ৭০ বছর বয়সী মতিন মিয়া আক্ষেপ করে বললেন, দিন শেষে খাল-বিল থেকে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়েনা। আমাদের সময়ে মাছ খাওয়ার চাহিদা মিটিয়েও মাছ শুকিয়ে শুটকি সংরক্ষণ করতাম। পাঁচ মিশালী মাছের রান্নার ঘ্রাণ পাড়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু বর্তমানে এখন আর আগের মতো ছড়িয়ে পড়েনা।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা আক্তার জানান, কারেন্ট জাল, হাতে টানা ঘন কারেন্ট জাল ব্যবহার রোধসহ জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে পারলে অন্তত বর্ষা মৌসুমে দেশি মাছগুলো বংশ বিস্তার করতে পারবে। আমাদের মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে প্রতি বর্ষায় কারেন্ট জালসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়।

কেকে/এমআই
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কিশোরগঞ্জে লোকজ উৎসব ও বর্ষবরণ উদ্‌যাপন
ঈশ্বরগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বরণ
রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে রাজউক
বাঞ্ছারামপুরে নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিএনপি ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি
যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও পাসপোর্ট জালিয়াত চক্রের সদস্য গ্রেফতার

সর্বাধিক পঠিত

পাওনা টাকা চাওয়ায় বাবাসহ চার ভাইকে পিটিয়ে জখম
সালথায় মামা-ভাগ্নে গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
‘বাঞ্ছারামপুরের সার্বিক উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে’
কিশোরগঞ্জে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা ও স্ত্রীর যৌনাঙ্গ থেতলে দিয়েছে পাষন্ডরা
লালপুর থানা থেকে আসামি ছিনতাই মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close