কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ করেছেন এক নারী শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসহ প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলে।পরে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেন।এতে ওই শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
প্রক্টর অফিসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও অভিযোগ করেন,এসময় অভিযুক্ত বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী তার ছবি তুলেছেন। উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং সহকারী প্রক্টর ড. নাহিদা বেগম তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত বাপ্পীর ফোন চেক করে ঘটনার সত্যতা পান।পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম তদন্তের স্বার্থে বাপ্পীর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন।
যৌন হয়রানি বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী অস্বীকার করে বলেন, আমি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে পছন্দ করতাম এবং তবে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যাইনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে বায়েজিদকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি এবং তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যেন অনিরাপদ বোধ না করেন, তা নিশ্চিত করতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে বায়েজিদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। অভিযোগপত্রটি আমরা প্রশাসন বরাবর পাঠিয়েছি।
হল ত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির রুমে নতুন তালা দিয়েছি। সে হলে আসলে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবগত করব।
কেকে/এইচএস