১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় আসে মুক্তির সুবর্ণ সকাল। ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পিছু হটে। কিন্তু দীর্ঘ ৫৩ বছর পরেও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর পড়ে আছে অযত্নে।
২৬ নভেম্বর থেকেই পাকবাহিনী জীবননগরে দুর্বল হয়ে পড়লেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। ভারতীয় মিত্র বাহিনীর মেজর দত্ত এবং ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার প্রয়াত জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী জীবননগরের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে হানাদারদের পরাজিত করে। সেই দিনই প্রথমবার উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।
মাধবখালী গ্রামে সমাহিত ছয় শহিদ মুক্তিযোদ্ধার কবর আজও অবহেলায় রয়েছে। ২০১৮ সালে ১৮ লাখ টাকার বরাদ্দে সংস্কারকাজ শুরু হলেও তা থমকে যায় সীমান্ত-সংক্রান্ত জটিলতায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দলিল উদ্দিন দলু জানান, কবরগুলো সরিয়ে অন্যত্র নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্ম কেবল কবর সংস্কার নয়, একটি মুক্তিযোদ্ধা মিনি জাদুঘর স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন জানিয়েছেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
৪ ডিসেম্বরের সেই গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি ধরে রাখতে শহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া জরুরি।
কেকে/এএম