প্রকাশ: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:০৭ পিএম (ভিজিটর : ৯৯)
উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের নটাভাঙ্গা মাঠ থেকে তোলা। ছবি: প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার দুই শতাধিক কৃষক। এতে করে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। বিষয়টি স্বীকার করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে একটি তদন্ত একটি কমিটি গঠন করেছে রাজবাড়ী জেলা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কমিটি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট এক হাজার প্রান্তিক কৃষকদের উন্নত জাতের বারি-১, বারি-৪ ও তাহেরপুর জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে স্থানীয় কৃষকেরা জানায়, নভেম্বর মাসে সরকারি ভাবে বিনা মূল্যে এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ দিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এই বীজ বোপন, সেচ, সার, কীটনাশক ও জমি প্রস্তুত বাবদ প্রায় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ বোপন করে পেঁয়াজ লাগাতে পারবো না। অনেক লেট হয়ে যাবে। পেঁয়াজের চারা ক্রয় করে রোপন করতে গেলে অনেক টাকা লাগবে। সব মিলিয়ে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে বলে জানান কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, এ বছর উপজেলার ১ হাজার প্রান্তিক কৃষকদের উন্নত জাতের বারি-১, বারি-৪ ও তাহেরপুর জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বারি-৪ জাতের পেঁয়াজ বীজ পেয়েছে ২৫০ জন কৃষক। মূলত তাদের বীজগুলো না গজানোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ০ থেকে ৩০% বীজের চারা গজিয়েছে। বিএডিসির সরবরাহ করা পেঁয়াজ বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কমিটি একটি তদন্ত একটি কমিটিও গঠন করেছে বলে জানান তিনি।
কেকে/এমএস