মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ধলেশ্বরী নদীর খাসজমি দখল করে ইটভাটা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার MHB ও ASA ইটভাটা দুটি প্রায় শতবিঘা সরকারি খাসজমি দখল করে চালাচ্ছে অবৈধ কর্মযজ্ঞ। ইটভাটা মালিকরা বলছেন প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইটভাটা দুটির বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকায় MHB ও ASA ইটভাটা দুটি দীর্ঘদিন ধরে ধলেশ্বরী নদীর খাসজমি দখল করে ইট তৈরি করছে। ইটভাটা দুটির মালিক ঢাকার মো. হাবিবুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন। ইটভাটা দুটির পাশে অল্প কিছু জায়গা ব্যক্তি মালিকানায় থাকলেও অধিকাংশ জায়গায়ই সরকারি খাসজমি। অসাধু কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা দুটি ধলেশ্বরী নদীর প্রায় শতবিঘা সরকারি খাস জমি দখল করে চলছে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আছে। ইটভাটা দুটির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ইটভাটা দুটি। প্রশাসন জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে ইটভাটা দুটি পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ভাটা দুটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
MHB ইট ভাটার মালিক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ সরকারি অনুমতি নিয়ে ভাটা পরিচালনা করে আসছি। প্রশাসন কেন অনুমতি দেয়, আপনারা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলুন। প্রশাসন অনুমতি দিলে আপনারা কি করবেন। আপনারা নিউজ করে যা খুশি করেন। প্রশাসন ম্যানেজ করেই ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। আপনাদের কোন চাওয়া-পাওয়া থাকলে বলেন।
ধল্লা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইটভাটা দুটি পরিদর্শন করেছেন। ধলেশ্বরী নদীর খাস জমি দখল করেই ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে। স্যার যেকোনো সময় ইটভাটা দুটির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন।
মানিকগঞ্জের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. ইউসুফ আলী বলেন, পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা পরিবেশের ছাড়পত্র দেই, জমি দখলের বিষয়টি আমরা দেখি না। তবে এখন যেহেতু খাসজমি দখলের বিষয়টি আসছে, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, নদীর খাস জমি দখল করে ইটভাটা নির্মাণের সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এমআই