শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫,
২৭ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ক্ষমতার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে রাজনৈতিক অনৈক্য      বাড়তি ব্যয় চাপছে ভোক্তার ঘাড়ে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও      পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম      শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব      যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি      
গ্রামবাংলা
পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করলেন শিক্ষক, প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা
সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৫ পিএম  (ভিজিটর : ৩২৫)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই সিলগালা করা প্যাকেট খুলে ফটোকপি করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক ২৫ নং জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব।

সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার কথা স্বীকার করে বলেন, ছাত্র অনুযায়ী প্রশ্ন কম হওয়ায় কিছু প্রশ্ন ফটোকপি করা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করায় তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকসহ সমাজের সচেতন মহল।

জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর মোট ১০টি পরীক্ষা চলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রত্যেক স্কুলে সিলগালা করে পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়া হয়। গোপনীয়তা রক্ষার্থে পরীক্ষা শুরুর দিন প্রতিটি প্যাকেট শিক্ষকদের সামনে খুলে শিক্ষার্থীদের কাছে দেওয়ার নিয়ম।

এদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে ঐদিনই প্রতিটি সিলগালা প্যাকেট খুলে একাধিক ফটোকপি করেন সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব।

জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি ব্যস্ততার কারণে যেতে না পারায় সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব প্রশ্নপত্রগুলো নিয়ে আসে। পরীক্ষার আগেই সিলগালা খুলে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করা ঠিক হয়নি। যদি ছাত্রদের প্রশ্নপত্র কম হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর ফটোকপি করা যেত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, মো. আব্দুল ওহাব ওই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। যেসব শিক্ষক ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ান তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। প্রতিবছরই তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সারোয়ার হোসেন সোহেল বলেন, পরীক্ষার আগেই যদি প্রশ্নপত্র ফটোকপি করা হয়, তাহলে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবশ্যই ফাঁস হয়েছে। যে শিক্ষক এই প্রশ্নফাসের সাথে জড়িত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ছাত্র অনুযায়ী প্রতি শ্রেণীর প্রশ্নপত্র কম হওয়ায় সিলগালা খুলে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করি। তবে এটি আমার ঠিক হয়নি। এ বিষয় সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ জানান তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুলতানা আসমা খান বলেন, পরীক্ষার আগে সিলগালা প্রশ্নের প্যাকেট খুলার নিয়ম নেই। যদি প্যাকেট খুলে ফটোকপি করেন সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেকে/এমআই
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জাল টাকার নোট দিয়ে পান-সিগারেট কিনতে গিয়ে আটক যুবক
জীবননগর সীমান্তে ৬৬লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
অভিনেত্রী নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ
তীব্র শীতে কাপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন ৮.৫ ডিগ্রি

সর্বাধিক পঠিত

নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
লামায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার
পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম
গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারে বেশি বিল আসার কারণ জানাল বিএন্ডটি

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝