শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫,
৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের মহাসচিব      গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস      কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব       নাগালের বাইরে নিয়োগবাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড মাহবুব      আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা বাদ জুমা, দাফন আজিমপুরে      প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব      ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, পূর্বের সংবিধান বাতিল      
গ্রামবাংলা
পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করলেন শিক্ষক, প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা
সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৫ পিএম  (ভিজিটর : ৩৬৫)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই সিলগালা করা প্যাকেট খুলে ফটোকপি করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক ২৫ নং জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব।

সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার কথা স্বীকার করে বলেন, ছাত্র অনুযায়ী প্রশ্ন কম হওয়ায় কিছু প্রশ্ন ফটোকপি করা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করায় তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকসহ সমাজের সচেতন মহল।

জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর মোট ১০টি পরীক্ষা চলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রত্যেক স্কুলে সিলগালা করে পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়া হয়। গোপনীয়তা রক্ষার্থে পরীক্ষা শুরুর দিন প্রতিটি প্যাকেট শিক্ষকদের সামনে খুলে শিক্ষার্থীদের কাছে দেওয়ার নিয়ম।

এদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে ঐদিনই প্রতিটি সিলগালা প্যাকেট খুলে একাধিক ফটোকপি করেন সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব।

জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি ব্যস্ততার কারণে যেতে না পারায় সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব প্রশ্নপত্রগুলো নিয়ে আসে। পরীক্ষার আগেই সিলগালা খুলে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করা ঠিক হয়নি। যদি ছাত্রদের প্রশ্নপত্র কম হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর ফটোকপি করা যেত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, মো. আব্দুল ওহাব ওই প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। যেসব শিক্ষক ছাত্রদের প্রাইভেট পড়ান তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। প্রতিবছরই তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সারোয়ার হোসেন সোহেল বলেন, পরীক্ষার আগেই যদি প্রশ্নপত্র ফটোকপি করা হয়, তাহলে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবশ্যই ফাঁস হয়েছে। যে শিক্ষক এই প্রশ্নফাসের সাথে জড়িত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ছাত্র অনুযায়ী প্রতি শ্রেণীর প্রশ্নপত্র কম হওয়ায় সিলগালা খুলে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করি। তবে এটি আমার ঠিক হয়নি। এ বিষয় সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ জানান তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুলতানা আসমা খান বলেন, পরীক্ষার আগে সিলগালা প্রশ্নের প্যাকেট খুলার নিয়ম নেই। যদি প্যাকেট খুলে ফটোকপি করেন সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেকে/এমআই
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ধনবাড়ীতে মাচা পদ্ধতিতে করলা চাষে বাম্পার ফলন
সুন্দরবনে ২৮ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারী আটক
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি
জামালপুরে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে বিএনপি নেতার হুমকি
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

সর্বাধিক পঠিত

আছিয়ার শোক শেষ না হতেই দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার
স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং, থানায় অভিযোগ করায় বাবাকে পিটিয়ে জখম
উত্তর জনপদের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রকৌশলী আহসান হাবীবের জন্মদিন পালিত
শালিখায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক
শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close