দীর্ঘ বিশ বছর পর বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, রেজি নং-১৮০৮/৭৫ (১৯৬২-১৯৬৩) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা শাখার কার্যকরী সংসদ নির্বাচনে মো. আবু জাফর সভাপতি ও মো. আনিস আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী নাইমুল ইসলাম।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি দক্ষিণ সুবিদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম আবদুর রাজ্জাক।
জানা যায়, উপজেলার ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৭৬৩ জন শিক্ষক ভোটারের মধ্যে ৭৩৬ জন ভোট প্রদান করেন। ১ জন ভোটার গত কয়েক দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন এবং ৩ জন ভোটার অবসরে যান। মোট ২৩ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন।
ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গণনা। গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার বৌদ্ধপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মাহমুদ উপজেলার ৫১-নং পূর্ব লক্ষ্মীপুর জনতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু জাফরকে সভাপতি ও ৩৯-নং পূর্ব আলীপুর রমানাথ সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আনিস আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক এবং ১০১-নং দক্ষিণ পশ্চিম যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কাজী নাইমুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষনা করেন।
সভাপতি পদে বিজয়ী জাফর ২নং সংখ্যা প্রতীকে পান ৫২৯ ভোট ও তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান ১নং সংখ্যা প্রতীকে পেয়েছেন ২০০ ভোট। পদটিতে ভোট বাতিল হয় ৭টি।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী আনিস ৪নং সংখ্যা প্রতীকে পেয়েছেন ২২৪ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাইফুর রহমান ৭নং সংখ্যা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৪ ভোট। একই পদে আবু নাসের খান সুমন ৫নং সংখ্যা প্রতীকে ১৭৯ ভোট, মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬নং সংখ্যা প্রতীকে ১০৭ ভোট ও রাকিবুল হোসাইন সোহাগ ৩নং সংখ্যা প্রতীকে ৩৮ ভোট পেয়েছেন। পদটিতে ৪ টি ভোট বাতিল হয়।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী নাইমুল ৮নং সংখ্যা প্রতীকে পান ৪৫৫ ভোট ও তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইব্রাহিম ৯নং সংখ্যা প্রতীকে ২৭৭ ভোট পেয়েছেন। এ পদটিতেও ৪ টি ভোট বাতিল হয়।
নবনির্বাচিত সভাপতি মো. আবু জাফর বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এ বিজয় সকল শিক্ষকদের। এ বিজয় ন্যায় ও সত্যের। আমি উপজেলার সকল শিক্ষকদের সার্বিক কল্যাণে পাশে থাকব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনটি পদে নির্বাচন হয়েছে। মোট ৫১টি পদের ৪৮টি তে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।
কেকে/এমআই