বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) শাখার অন্যতম সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি।
শনিবার (৭ ই ডিসেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে হুমকি দেয়া হয়।এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর মৌখিক অভিযোগ দেন এবং পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ প্রদান করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "গতকাল (সন্ধ্যা ৬ টার দিকে) ডেইরি ফার্মের গেইটের দিকে মাস্ক পরা এক অজ্ঞাত লোক আমাকে সরাসরি যেকোনো সময় মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি যেনো জুলাই গণহত্যার বিচার কার্য নিয়ে আন্দোলনে যেনো বাড়াবাড়ি না করি। আমাকে গালাগালি করে হুমকি দেয় যেনো আমি সাবধান হয়ে যাই। মাস্ক পড়া ঐ লোকের আমি কথার উত্তর দিতেই সে দ্রুত গতিতে অন্ধকারে সিএমবির দিকে চলে যায়, ঐদিকেও আরো ২ জন লোক খুব সম্ভবত বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। মাস্ক আর মাথায় টুপির কারণে ঐ লোককে চিনতে পারিনি, কন্ঠও চেনা যায়নি তবে আমার কাছে মনে হয়েছে ঐ অজ্ঞাত লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী এবং জুলাই গণহত্যার হামলাকারী।"
তিনি আরও বলেন, "এরকম পরিস্থিতিতে আমি খুবই শঙ্কিত যে এইভাবে আমার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার সাথে ঘটা আজকের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী। কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণহত্যায় জড়িত ১৪-১৭ জুলাই হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হামলাকরীদের ভিডিও ফুটেজ, তথ্য থাকার তাদের ব্যাপারে সরকার এবং প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তদন্ত কমিটির কাজের শেষ হয় না, কোনো অগ্রগতি নেই, মামলা করার ব্যাপারেও উদাসীন। এমতাবস্থায় সরাসরি প্রাণনাশের এরকম ভয়াবহ হুমকির কারণে আমি খুবই শঙ্কিত। যেকোনো সময় হামলাকারী স*ন্ত্রাসীদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, "এ বিষয়ে তার সাথে আমাদের কথা হয়েছে।সে আমাদের বিস্তারিত জানিয়েছি।ইতিমধ্যে আমরা পুলিশ প্রসাশন কে অবগত করেছি।তার পরীক্ষা থাকায় লিখিত অভিযোগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে।লিখিত অভিযোগ পেলে এর ভিত্তিতে যতটুকু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন আমরা নিবো"
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগকারী সমন্বয়কের একজন তিনি।
কেকে/এআর