আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
এ সময় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা কোনো প্রকার অশান্তিতে বিশ্বাসী না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীল। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমাদের বন্ধু আছে। আমরা আগ্রাসীতে বিশ্বাসী নই।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবো।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও বরখেলাপ বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের জনগণের কথা যুবদলের, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কথা আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতিবাদ দিয়ে আমরা এই পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান শেষ করেছি।
নয়াপল্টন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে পদযাত্রা করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন দুপুর পৌনে ১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলকে সামনে যেতে দেওয়া হবে না। শুধু প্রতিনিধিরা যেতে পারবেন স্মারকলিপি দিতে।
এরপর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় প্রতিনিধিকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রতিনিধিরা ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে পদযাত্রাটি রামপুরা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেট দেয়। পরে বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় শীর্ষ নেতা ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
কেকে/এআর