বেশ কিছুদিনের সম্পর্ক। সব কিছুই ভাল চলছিল। কিন্তু হঠাৎ কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। সেই রাগে প্রেমিকের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন তরুণী।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায়। গুরুতর অবস্থায় ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তরুণী। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সূত্রে জানা যায়, জখম যুবকের নাম আব্দুর রহমান। অভিযুক্তের নাম সোমাইয়া খাতুন। আব্দুর এবং সোমাইয়ার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। দুই বাড়িই সম্পর্কের কথা জানতো। কিন্তু সম্প্রতি দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তার মধ্যেই শুক্রবারের ওই ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে প্রেমিককে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই তরুণী। সেই মতো হাজিরও হন আব্দুর। দুজনে বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলেন। গল্প করতে করতে আব্দুরকে বাড়ির কাছে বাগানে নিয়ে যান সোমাইয়া। সেখানে একটি গাছে প্রেমিকের হাত-পা বাঁধেন। চোখও বেঁধে দেন। তার পর ধারালো অস্ত্র বার করে প্রেমিকের গোপনাঙ্গে কোপ বসান তরুণী।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুবকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখে চমকে যান তারা। অন্য দিকে, তরুণী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা সোমাইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোমাইয়া জানিয়েছেন, তাকে ব্ল্যাকমেল করতেন প্রেমিক। তাই তাকে জব্দ করতে এই কাণ্ড করেছেন। যদিও কী নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল তাকে, তা বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ) সুরিন্দর সিংহ বলেন, হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ডোমজুড় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা তদন্ত শুরু করেছেন। চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার প্রেমিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেল করতেন। কিন্তু কী কারণে ব্ল্যাকমেল করতেন তা জানতে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এমন নাটকীয় ঘটনার পর অনেকে এই সম্পর্কের প্রকৃত কারণ ও টানাপোড়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পুলিশ পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে এবং উভয়ের পরিবারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কেকে/এএম