নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাফ ইউনিয়নে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকি থেকে মো. রবিন হোসেন (১৭) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চুলডগি গ্রামের জামালের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. রবিন হোসেন একই ইউনিয়নের ৮-নং ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের সওদাগর বাড়ির মো. ইউনূসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। সে তার সৎ মা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে মারামারি করতে দেখেন। জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের সৎ মা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পাওয়ায় অপহরণের মামলায় রূপান্তর করেন। পরে ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ডাকতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

কেকে/এমআই