মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪,
৬ কার্তিক ১৪৩১
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম: উত্তরায় আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ পণ্য উদ্ধার      বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন       বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, সেনাবাহিনীর বাধা      ডেঙ্গুতে আরো ৭ মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯      প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক      বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি      সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত      
অর্থনীতি
রিজার্ভে হাত না দিয়েই দুই মাসে দেনা পরিশোধ দেড় বিলিয়ন ডলার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৫ পিএম  (ভিজিটর : ১২৮)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ খরচ না করেই, দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে, অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে তেল, গ্যাস, সারসহ দরকারি পণ্য আমদানিতে।

গভর্নর জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানোর পর, আরো ইতিবাচক ধারায় ফিরবে অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।

জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেলো বছর দুয়েক ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো।

এই বাস্তবতায়, আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে, গেলো দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেয়ার আশা গভর্নরের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে।

এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর। বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই। তাহলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়ত ৪শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়ত হবে। হোক তাও সেটা একটা বছরই তো।

এ সময় শ্রম অসন্তোষে রপ্তানি কমে যাওয়ার শঙ্কার কথাও জানান গভর্নর।

কেকে/এমআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  বাংলাদেশ ব্যাংক   রিজার্ভ   গভর্নর   আইএমএফ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

সাত কলেজের সার্টিফিকেট থেকে ‘অধিভুক্ত’ বাতিলের বিষয়টি গুজব
উত্তরায় আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ পণ্য উদ্ধার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, সেনাবাহিনীর বাধা
ডেঙ্গুতে আরো ৭ মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯

সর্বাধিক পঠিত

গজারিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ডাকাত সর্দার বাবলা নিহত
কাঁদতে কাঁদতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন ‘সরি স্যার’
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, ভিআইপি পরিবহনের ৩০ বাস আটক
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক

অর্থনীতি- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝