পরিবারের বাঁধায় ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা যায়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমানের মরদেহ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর মাদ্রাসা এলাকার কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশ তুলতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়।
হাফেজ সোলাইমান গত ৫ আগষ্ট দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে গুলিতে নিহত হন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি শামীম কবির বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিআইডিকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, আদালতের আদেশে সোমবার সকালে মাদানীনগর কবরস্থানে আসেন তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক হাসিনা বেগম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরাম খান। খবর পেয়ে কবরস্থানে ছুটে আসেন হাফেজ সোলাইমানের পরিবারের সদস্যরা। তারা লাশ তুলতে বাধা দেন। পরে বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে দুদিনের মধ্যে সুরাহা করার সিদ্ধান্ত শেষে লাশ না তুলেই চলে যায় সিআইডির প্রতিনিধি দল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মামলার বাদী শামীম কবীর জানান, মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আমাদের সাথে আগে যোগাযোগ করেছিল মরদেহ উত্তোলনের জন্য। আমরা বরাবরই মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আজকে যে তারা আদালতের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আসছে সেটা আমাদের জানা ছিলো না।
তিনি আরও জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার কথা জানান। মরদেহ উত্তোলন ছাড়া যদি কোন প্রক্রিয়া থাকে তবে আমরা মামলা চালিয়ে যাবো। আর যদি মরদেহ উত্তোলনই করতে হয় তাহলে আমরা মামলাটি আর চালাবো না, প্রয়োজনে প্রত্যাহার করে নিবো মামলা।
এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরাম খান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। তাই আমরা তাদেরকে সময় দিয়েছি। উনারা আদালতে যাবেন। আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক হাসিনা বেগম জানান, নিহত সোলাইমানের পরিবার মরদেহ উত্তোলনে রাজী নয়। তাই তারা সময় চেয়েছে। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য তাদের সময় দেয়া হয়েছে।
কেকে/এমআই