জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ত্রিশাল মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী।
এরপর মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারীদের গভীর শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ হতে চির উন্নত মম শির এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিজয় র্যালী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে এসে শেষ হয়।
র্যালী শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকের গুলি করার স্মৃতিগুলো আমার এখনো মনে ভাসে। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা শহিদ হয়েছেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বিশেষ করের ত্রিশালকে শত্রুমুক্ত করতে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে। তাদের পরিবারের জন্য সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঐক্যের প্রতীক। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রবঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্যই এদেশের আপামোর জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করে। এর মূল লক্ষ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, আমাদের আত্মমর্যাদাকে যেন সমুন্তত রাখতে পারি এবং যেন সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারি এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ,
এছাড়া রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল ত্রিশাল উপজেলা।
কেকে/এজে