ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ- জলপাইগুড়ি লাগোয়া বাংলাদেশের নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় নির্যাতনের শিকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। একই অবস্থা পঞ্চগড়েও।
এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থল ডোমার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেলো স্বাভাবিক চিত্র। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের। এমনকি কোথাও কোন হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের চিহ্নও নেই। সাম্প্রতিককালে মন্দির ভাঙা বা মানুষে মানুষে দলাদলি হয়নি।আমরা চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য খুব সুন্দর ভাবেই করতেছি। এসব অপপ্রচার মিডিয়া দ্বারাই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতির সাবেক উপজেলা সভাপতি গোরা চাঁদ অধিকারী জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা-ভিত্তিহীন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝেই বসবাস করছেন সবধর্মের মানুষ। ভারতীয় মিডিয়া যেসব প্রচার করছে তাতে আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি। তবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখছি এমন কোন কিছুই নেই। তখন আমরা মনে মনে ভাবছি এসব অতিরঞ্জিত হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী রতন রায় বলেন, এলাকায় বিশৃঙ্খলার কোন খবর তারা পাননি। এমনকি জানেনও না কেউ। যেভাবে ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হচ্ছে তেমন কোন কিছুই আমাদের এলাকায় ঘটেনি। হিন্দু মুসলমান ইতিপূর্বে আমরা যেভাবে চলাফেরা করেছি বর্তমানেও সেভাবেই চলছি।
ডোমার শহরের মামুন ক্লথ ষ্টোরে কাজ করেন তিনজন সনাতন ধর্মের মানুষ। তাদেরেই একজন ভোলানাথ বাবু বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘদিন থেকেই কাজ করছি। এই এলাকায় হিন্দু আর মুসলিমরা ভাইয়ের মতন। আমাদের পুঁজায় মুসলমানরা সব সময় সহযোগীতা করে আসে। ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা খবরে আমরা বিব্রত হই।
ব্যবসায়ী সনজু কুমার আগরওয়ালা দাবী করেন, এখানে কোন সমস্যা নেই। আমাদের যে কোন সমস্যায় মুসলমানরা এগিয়ে এসে আমাদের সাহায্য করে থাকেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, গেল ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারো ওপর কোন আঘাত আসেনি। মন্দির ভাঙচুর বা অমুসলিম কোন পরিবারের উপর হামলার খবর এখনো আমরা পাইনি।
এছাড়া, পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ে হিন্দু বাড়িতে হামলা ও একাধিক মন্দির ভাঙচুরের ঘটনার তথ্যও অসত্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কেকে/এআর