প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৯ পিএম আপডেট: ১০.১২.২০২৪ ১:৩৪ পিএম (ভিজিটর : ২৫৯)
ছবি: প্রতিনিধি
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল-আল-মামুন। কর্মশালা সঞ্চালনা করেছেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।
কর্মশালায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, গত অর্থ বছরে উপকারভোগীদের ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে৷ সম্প্রতি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পলিথিনসহ প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংরক্ষণ এবং উদ্যানটি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় সেটি নিয়ে কাজ করার। সঙ্গত কারণে, স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতাসহ বহুমুখি প্রতিবন্ধকতার শিকার বন বিভাগ। জাতীয় উদ্যানের ভেতর ব্যক্তিমালিকানা ভূমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে৷ জাতীয় উদ্যান নিয়ে একটি মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বন বিভাগ।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যেতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আমাদের দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমির কথা থাকলেও তা নেই। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা ব্যক্তিমালিকানা জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জমির মালিকদের সাথে আলোচনা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ হলে উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধি পাবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বনভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃক্ষরোপন করতে হবে। আমরা চাই না বনভূমি দখল হোক। বন রক্ষা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হবে।
কেকে/এমএস