দিনাজপুরের খানসামায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বেশি লাভের আশায় অনেক চাষি সময়ের আগেই আলু উত্তোলন করছেন।
এই এলাকায় সেভেন ও বগুড়ার রোমানা জাতের আলু সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি নতুন আলু জমিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৬ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বেলপুকুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এ বছর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি থাকায় বিঘাপ্রতি খরচ গুণতে হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে ভালো দামের আশায় আগাম আলু তুলে বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৯৫৮ হেক্টর জমি। যা ছাড়িয়ে ৬০ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে আলু উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। তবে দুই-চার দিনের মধ্যেই পুরোদমে আলু উত্তোলন হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের পাকেরহাট এলাকার আলু চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, 'এবছর শুরু থেকে আলুর বীজের দাম অনেক বেশি। আগাম আলুতে উৎপাদন কম। এ কারণে আলুর দাম একটু চড়া।'
উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আলুর পাইকার হাফিজুর ইসলাম ও হাজাবুর ইসলাম জানান, সূর্যের উত্তাপ কম থাকার কারণে আগাম জাতের আলুর ফলন কম হয়েছে। চাহিদা মতো আলু পাওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে, ততটুকু বস্তায় ভরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন খরচ বেশি। তাই অধিক লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগে অনেকেই আলু তুলছেন।
আলু চাষের সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। গতকাল পর্যন্ত উপজেলায় ১৯৯৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং এ উপজেলায় আলুর রোপন চলমান রয়েছে আরো ২০ থেকে ৩০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলার আগাম আলু চাষিরা আলু চাষ করেছেন এবং আলু উত্তোলন এবং বাজারজাত করন শুরু করেছেন। বাজার দাম হিসেবে আগাম আলু চাষ করে কৃষক ভাল দাম পাচ্ছেন এবং লাভবান হচ্ছেন।
কেকে/এমএস