মানবাধিকার দিবসের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অনুসরণ করে, ছাত্রদল নেতা জাকিরের নেতৃত্বে গুমের শিকার সকল নেতাকর্মী ও নাগরিকদের মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ ও পেটুয়া বাহিনীর নির্মম নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের শিকার নেতাকর্মীদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর যথাযথ বিচার দাবি এবং মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন, গুম, হত্যা এবং মৌলিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার এবং নিপীড়িতদের মুক্তি দাবি করেন।
এ মানববন্ধনে ছাত্রদল নেতা জাবি হোসেন বলেন, আজকের এই মানববন্ধন আমাদের সংগঠনের দৃঢ় অবস্থান এবং সংগ্রামের আরেকটি উদাহরণ। আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি না, বরং বিশ্বের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার পক্ষে সোচ্চার হয়েছি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের তাৎপর্য অনুসরণ করে আমরা আজ গুম, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল নেতাকর্মী এবং নাগরিকদের মুক্তি চাই, এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবি করছি। আমাদের দাবি, পৃথিবীর যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেই সব ঘটনার বিচার করা উচিত এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে সকল দেশের সরকারগুলোর উচিত একত্রিত হওয়া।
আরেক ছাত্রদল নেতা একরামুল হক বলেন, এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ বা আমাদের দলের সমস্যা নয়, এটা একটি বৈশ্বিক সংকট। যে কোন সরকার বা শাসন ব্যবস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তার বিরুদ্ধে সকল মানবপ্রেমী মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। আমাদের এই আন্দোলন শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আন্দোলনেরও অংশ। বিশেষভাবে, আজ আমরা জুলাই বিপ্লব এবং এর ফলে সংগঠিত গণহত্যার বিচার দাবি করছি। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে গুম, হত্যা, এবং নির্যাতনের শিকার নিরীহ মানুষদের জন্য সুবিচার দাবি করছি। এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য দোষীদের শাস্তি হতে হবে, যাতে আগামীতে এমন বর্বরতা আর ঘটতে না পারে এবং বাংলাদেশে শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়।
এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হবে এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ঘটে।
মো. আবিদুর রহমান বলেন, এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদ এবং দাবি। আমাদের এই সংগ্রাম কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, বরং একটি ন্যায়বিচারের আন্দোলন। আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে এবং আমাদের আন্দোলন সেই পথের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আদনান করিম, সাহান ভুঁইয়া, শামসুজ্জামান সায়েম, সাদিকুর রহমান, অনিক, একরামুল হক, আমিনুল ইসলাম, মমিনুল হক, মমিনুর রহমান, শামীম, তানভীর রহমান, নাঈমুল ইসলাম, আরেফিন মুন্নাফ এবং আবিদুর রহমান।
কেকে/এজে