ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পড়াশোনা না করলে তোমরা নিজেদেরকে তৈরি করতে পারবে না। যারা পড়ে তারা মনে করে অনেক জানার আছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রোগ্রাম শুরু হয়।
তিনি বলেন, যারা পড়ে না তারা মনে করে আমরা খুব জানি। তোমাদের সম্পর্ক থাকবে শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং আবাসিক হলের সঙ্গে। তোমরা যদি শ্রেণিকক্ষে বই নিয়ে পড়তে চাও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ খোলা থাকবে রাত বারোটা পর্যন্ত। তোমরা পড়বে। তোমাদের পরিচয় তৈরি হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটস হিসেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, ততদিন তোমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করবে। এটিই তোমার জন্মভূমি পাঁচ বছরের জন্য। ছাত্ররা হলে ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা এ ব্যাপারে তদারকির জন্য প্রভোস্ট-হাউজ টিউটরদের নির্দেশ দেন তিনি।
মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেন, ইসলাম মানুষ ও মানবতাকে মুক্তি দিয়েছে এবং পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামই মানুষকে মুক্তি দেবে। নতুন বাংলাদেশ তোমাদের গড়তে হবে। তোমাদেরকে আলোকিত, দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হতে হবে। এগুলো সবই সম্ভব যদি তোমাদের নিজেদের ভিতরেই পরিবর্তন আসে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের সোনালী যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় মুসলিম বিজ্ঞানীরা উন্নতি করতে পেরেছিল এজন্য যে, কোরআন বিজ্ঞানের কথা বলেছে, গবেষণার কথা বলেছে, পৃথিবী ও সৃষ্টিজগত নিয়ে ভাবতে বলেছে।
প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধূরী মাহমুদ হাসান। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইআইটি-এর মহাপরিচালক ড. এম. আব্দুল আজিজ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপ-উপাচার্য নবাগত শিক্ষার্থীদের সুস্বাগতম জানিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ভেদাভেদ, অস্ত্রের ঝনঝনানি ও ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশের পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব। যারা র্যাগিং করবে তাদের কঠোর হাতে দমনের ঘোষণা দেন তিনি।
প্রোগ্রামে ডিনদের পক্ষে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শেখ এবিএম জাকির হোসেন, সভাপতিদের পক্ষে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শরিফ মো. আল-রেজা, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহীনুজ্জামান, টিএসসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহা. কামরুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান।
কেকে/এজে