ভারতে গ্রেফতার হওয়া সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকে জামিন দিয়েছে ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জুওয়াই ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
জুওয়াই এসপি চেম্ফাং স্মৃতি বলেন, বাংলাদেশি পাঁচজনকে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, মূলত অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ভারতে থাকার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কোর্টের অর্ডার পেলে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মেঘালয়ের আদালতে তাদের জামিন শুনানি কথা থাকলেও সেদিন শুনানি হয়নি। ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, চার আওয়ামী লীগ নেতার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ভারতে আমরা বৈধভাবে অবস্থান করছি। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। যে কারণে স্থানীয় পুলিশও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
এদিকে, মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ স্টেশনে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ অক্টোবর বেলা দেড়টার দিকে বাদির দু’টি ট্রাক ভাঙচুর, লুটপাট ও চালককে মারধরের অভিযোগ আনা হয়। এতে অজ্ঞাত বাংলাদেশি নাগরিকও জড়িত থাকার থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় সিলেট আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করে ডাউকি পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও মহানগর যুবলীগের সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন। আরো একজনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত শনিবার গভীর রাতে কলকাতা শহরের হাতিয়াড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ। পর দিন রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বারাসাত কলকাতা জেলা দায়রা আদালতের বিশেষ ক্রিমিনাল আদালতে তাদের হাজির করা হয়। কিন্তু বিচারক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলংয়ের স্থানীয় আদালতে অপরাধীদের হাজির করা হবে এমন আশ্বাসে ট্রানজিট রিমান্ড না নিয়েই তাদের মেঘালয়ের জুওয়াই থানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় পুলিশ।
কেকে/এমএস