বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং অপপ্রচার মোকাবিলায় গণতন্ত্রকামী ও সংবেদনশীল মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতজ্ঞ কবীর সুমনের তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগটির নাম দেয়া হয়েছে 'শান্তিসেতু'। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্র এবং তাদের বশংবদ মূলধারার গণমাধ্যমের ছড়ানো অপতথ্যের প্রতিক্রিয়ায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো দুই দেশের ২০-২৫ জন একসঙ্গে একটি জুম মিটিংয়ে অংশ নেন।
উদ্যোক্তারা মনে করেন, শিশুতোষ ভারতবিদ্বেষ কিংবা নির্জলা মিথ্যাচার পরিস্থিতি উন্নত করার বদলে উল্টো দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়াবে। বরং সঠিক তথ্য ও ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
তথ্য ও ভাবের সার্বক্ষণিক লেনদেনের সুবিধার্থে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়। পাশাপাশি ‘শান্তিসেতু’র ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কলকাতায় একাধিক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রেস কনফারেন্স, মানববন্ধন, পথসভা, জনসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ। এসব কার্যক্রম পরবর্তীতে দিল্লি, মুম্বাইসহ গোটা ভারতে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শান্তিসেতুর অংশ হিসেবে দুই দেশের একটিভিস্টরা একে অন্যের দেশ ভ্রমণ করে অপতথ্য প্রতিরোধ ও জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এখানকার বাস্তব চিত্র তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে শান্তিসেতু একটি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে বলে উদ্যোক্তারা মনে করেন।
এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে বা তথ্য ও পরামর্শ দিতে আগ্রহীদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কেকে/এআর