শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫,
২৮ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: মাইনাস টুর আশা পূরণ হবে না: আমীর খসরু      অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আস্থার মর্যাদা রাখতে পারছে না: সাইফুল হক      ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশা      থানা থেকে সাবেক ওসি পলায়ন, বর্তমান ওসি ক্লোজড      টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার      দায়িত্ব ভাগাভাগি-সমতার মাধ্যমে উন্নত বিশ্ব গড়া সম্ভব: রিজওয়ানা হাসান      কেউই যেন বঞ্চিত না থাকেন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি: আদিলুর      
গ্রামবাংলা
রংপুরে বৃদ্ধার হত্যাকারীকে ৫ মাসেও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৪ পিএম আপডেট: ১২.১২.২০২৪ ৩:২৩ পিএম  (ভিজিটর : ১০৫)
ছবি- হত্যাকান্ডের স্বীকার বৃদ্ধা রাবেয়া

ছবি- হত্যাকান্ডের স্বীকার বৃদ্ধা রাবেয়া

রংপুরের বদরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বয়োজ্যেষ্ঠ রাবেয়া হত্যাকাণ্ডের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ । এনিয়ে হতাশা আর উৎকণ্ঠায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।


ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, আসামিদের সন্দেহ করে নিহত রাবেয়া'র ছেলে খাদিমুল ইসলাম বাদী হয়ে তার স্ত্রী- শ্বশুর শ্বাশুড়িসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরেও তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করছে না বদরগঞ্জ থানা পুলিশ। এনিয়ে ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলার দামদোরপুর বালুয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে খাদিমুল ইসলামের সাথে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর ভোট মাড়াই পাড়ার  বাসিন্দা মনবার আলীর মেয়ে মুন্নি আক্তারের সাথে প্রস্তাবে বিয়ে হয় গত বছরেই। খাদিমুল ঢাকায় কর্মরত থেকেই তাদের সংসার চালিয়ে আসে।


এদিকে বিয়ের পর থেকেই খাদিমুলের বৃদ্ধা মা-রাবেয়া বেগমের সাথে ছেলের বউ মুন্নি আক্তারের সাথে প্রায় সময়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের  গত ১৭ জুলাই  অযাচিত ভাবে মুন্নি তার মা তাহেরা বেগমকে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে নিহত রাবেয়া বেগমের সাথে অতর্কিত ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে এবং রাবেয়া বেগমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেন। এসময় খাদিমুলের বৃদ্ধ বাবা শহিদুল্লাহ ও তার ভাগ্নে পারভেজ  তাৎক্ষণিক ঝগড়া মিটিয়ে দেয়।


এঘটনার বিষয়ে নিহত রাবেয়া বেগম ওই রাতেই মুন্নির বাবাকে নালিস জানার জন্য আনুমানিক সাড়ে ৮টার  দিকে নিজ বাড়ি থেকে ছেলের শ্বশুর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন থেকেই রাবেয়া নিখোঁজ হন। সেই সময় থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না।


ঘটনার পরের দিন সকালে মুন্নির বাড়ি ঘেঁষে পুকুরে বৃদ্ধা রাবেয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। এঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করলেও অজানা কারণে নেয়া হয়নি মামলা।


নিহত বৃদ্ধা রাবেয়ার শরীরের চোখে আঘাত, নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখেন এলাকাবাসী। তা সত্ত্বেও বদরগঞ্জ থানা পুলিশ কি কারণে মামলা নিলেন না, তা নিয়ে ওই এলাকার জনমনে বাঁধে নানান প্রশ্ন।


এবিষয়ে নিহত রাবেয়া'র ছেলে খাদিমুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, আমার মা যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তা নিশ্চিত হয়ে থানায় মামলা করতে যাই। থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আমি নিজে বাদী হয়ে আমার স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও আমার শ্বশুর শ্বাশুড়িসহ ৫ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।


যা বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে। এই মামলা দায়ের করার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এবং উল্টো তারাই আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে জড়িয়ে  আদালতে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।


এবিষয়ে নিহত রাবেয়া'র স্বামী বৃদ্ধ শহিদুল্লাহ প্রতিবেদককে বলেন, একদিকে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভুমিকা অপরদিকে ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অব্যাহত থাকা হুমকি ধামকি আমার পরিবারটিকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


স্থানীয়  পারভেজ ও ময়নুল ইসলাম জানান, রাবেয়া নিখোঁজ রাতেই অভিযুক্ত মুন্নি আক্তার তার বাপের বাড়ি থেকে ভেজা কাপড় চোপড়ে ফিরেন। এবং পরদিন মৃত রাবেয়ার লাশ অভিযুক্তদের বাড়ি ঘেঁষে ভরা বিলের পানিতে ভেসে থাকা রাবেয়ার লাশ প্রমাণ করে এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে অভিযুক্তদের হাত থাকতে পারে।


তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত মুন্নি আক্তার প্রতিবেদককে বলেন,ঘটনার দিন আমি শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম, এবং ওই দিন সন্ধ্যায় আমার ননদদের সাথে শ্বাশুড়ির টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়া হয়। আমি উভয় পক্ষকে থামাতে গিয়ে তারা আমাকে আমার ঘরের ভিতরে বন্ধ করে রেখেছিল, পরে কি হয়েছে তা জানিনা।


তবে গভীর রাতে ভেজা কাপড় চোপড়ে শ্বশুর বাড়িতে ফেরার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্বা ও অসুস্থ বলে এড়িয়ে যান।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনবার আলী, তাহেরা বেগম ও আব্দুর রউফ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তারা। তবে রাবেয়া বেগম যে' হত্যাকাণ্ডের শিকার তা নিশ্চিত করেন এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনবার আলী ও অপর আসামি আব্দুর রউফ এরা উভয়ে মামলাবাজ। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানো এদের পেশা।


বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আতিকুর রহমান জানান,ওই সময়ে দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল প্রখর। তাছাড়া আমি এই থানায় যোগদান করেছি চলতি মাসে। তার পরেও বিষয়টি আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখবো।


কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মাইনাস টুর আশা পূরণ হবে না: আমীর খসরু
লোহাগাড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিলনমেলা
বাড়ন্ত শিশুর রিকেট কেন হয়
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিরোধী অভিযান
শুরু হলো আইটিইটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আসর

সর্বাধিক পঠিত

ক্যান্সারে পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন নুর আলম
শাবিপ্রবির চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ধ্রুব, সম্পাদক শান
কাউনিয়ায় নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
দৈনিক খোলা কাগজে সংবাদ প্রকাশ, সড়কে বাতি লাগানো শুরু
থানা থেকে সাবেক ওসি পলায়ন, বর্তমান ওসি ক্লোজড

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝