হঠাৎ সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ফরিদপুরের সালথার গ্রামীণ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক হাত দূরের জিনিসও ঝাপসা মনে হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সুর্যের দেখা মেলেনি এ অঞ্চলে, কুয়াশায় ঢেকে আছে সারাদিন। উপজেলার সব জায়গায় এমন চিত্রই চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের পর থেকে কুয়াশার চাদরে আড়াল হতে থাকে প্রকৃতি। বাংলা পৌষ মাসের শুরুতে ঠান্ডা প্রকৃতি আর এমন কুয়াশা এসব এলাকার জন-জীবনে কর্মের ব্যাঘাত ঘটে। তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। কুয়াশার সকালে কৃষকরা নেমে পড়েছেন মাঠে। বেলা বাড়লেও কুয়াশার আধিক্য থাকায় সালথায় সূর্যের দেখা মেলেনি কোথাও।
এ অবস্থায় শীত ও কুয়াশায় অসুবিধায় পড়ার কথা জানালেন কৃষকেরা।
কৃষকরা জানান, শীতের দিন মাঠে কাজ করতে ও দোকান চালানো খুব কষ্ট হয়ে যায়। নাক মুখ দিয়ে ঠান্ডা কুয়াশা ঢুকে পড়ে। ঠান্ডার কারণে গরিব মানুষকে অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।
কুয়াশার কারণে শীতের দিনে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয় বলে সকালে গন্তব্যে পৌঁছাতেও অনেক দেরি হয়ে যায় বলে জানান ভ্যান চালকরা। তারা জানান, আগে যে সময়ের মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানো যেত এখন সেটি সম্ভব হয় না। শীতের দিনে সকাল ও রাতে অনেক সতর্কতার সঙ্গে ভ্যানগাড়ি চালাতে হয়। বেশি জোরে গাড়ি চালানো যায় না। এবার অন্য বছরের তুলনায় শীতের প্রভাব বেশি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সারাদেশে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
কেকে/এজে