শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সোমপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
আজ রোববার সকাল নয়টায় নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠুর মুক্তির দাবিতে ছাত্রী-অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এদনি শতশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রিয় শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠুর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের পাশাপাশি অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এর পর শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে জোরালো বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্দর উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শান্ত করতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষার্থীসহ সকল মহলের সহযোগিতা ও শিক্ষকের মুক্তির আশ্বাস দেন।
প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্দর জানান, অভিযোগকৃত শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠু আমার পরিচালিত স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তার বিষয়ে একজন ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগে আমার কাছে কোন সত্যতা নেই। নেই কোন তথ্য প্রমাণ।
এটি একটি ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে, শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠুর মুক্তির জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন প্রধান শিক্ষক।
সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান কামরুল বলেন, শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠুর অভিযোগের কোন তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তিনি ও অভিযোগকৃত শিক্ষককে মুক্তি দিয়ে, শ্রেণিতে পাঠদানের আহবান জানান।
স্থানীয়রা জানান, ‘আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠুকে মুক্তি দিয়ে শ্রেণির পাঠদানে নিয়োজিত রাখা হোক। অন্যথায় আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো। আমরা তার মুক্তি চাই।’
উল্লেখ্য, অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- ১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর ছাত্রীকে শিক্ষক নাজমুল হাসান তার কোচিং সেন্টারে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করেন চাটখিল থানা পুলিশ।
পরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অনুষ্ঠিতব্য দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা আরম্ভ করা হয়।
কেকে/এজে