আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে রংপুর থেকে পুলিশকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শহিদ আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আবু সাঈদের বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন সরকার বলেন, আবু সাঈদ হত্যার চার মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার এজাহার ভুক্ত ছাত্রলীগের চুরাশি জনের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাবেক প্রক্টরকে গ্রেফতার করলেও আবু সাঈদ হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমত আলী বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার না করলে এই সংগ্রামী ছাত্র-জনতা রংপুরের পুলিশকে মেনে নেবে না। আমরা পুলিশের সকল মহলকে বলে দিতে চাই- সেই সকল পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে এই রংপুরের মাটিতে কোনো পুলিশের জায়গা হবে না। রংপুরে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, আজকের এই মানববন্ধন থেকে হুশিয়ার করে বলতে চাই- দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা পুলিশ প্রশাসনে বহাল থাকায় আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবু সাঈদ হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা মদদ দিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে তাজহাট থানা ওসি শাহালম সরদার বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআই পুলিশ নিয়েছেন। এটা আমাদের হাতে নেই। তাই আমাদের কোন কিছু করার নেই।
রংপুর পিবিআইয়ের এসপি এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আবু সাঈদ হত্যার একমাস পর পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক আসামি দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমাদের চেষ্টায় কমতি নেই। তদন্ত চলছে, মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রাণালয়লও বিষয়টি দেখছে, আর অনেক ডকুমেন্টেশনের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, চার মাসের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও আবু সাঈদ হত্যা মামলায় জড়িতদের এখনো আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে রংপুর পুলিশ প্রশাসন।
কেকে/এমআই