ভারতের উগ্রডানপন্থি শাসক দল বিজেপির স্বার্থরক্ষাকারী গদি মিডিয়ায় চলমান বাংলাদেশবিরোধী প্রপাগান্ডার বিষয়ে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা উদ্বিগ্ন।
মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে আসছিল, জুলাই গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
ভারতের সমর্থনপুষ্ট হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জনতার জাগরণ আবারো আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মূল শক্তি হচ্ছে আমাদের বৈচিত্র্য। দেশের সব জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতামতের মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এবং হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
এখন যখন ভারত সরকার নিজেদের আশ্রয়ে রাখছে গণহত্যাকারী পতিত স্বৈরশাসককে, তখন ভারতের গদি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একন নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কল্পিত ক্র্যাকডাউনের গল্প প্রতিনিয়ত আবিস্কার করে চলেছে গদি মিডিয়া। সম্প্রতি নানা সময়ে দেখা গেছে এইসব কথিত খবর হয় মিথ্যা নয়তো বিভ্রান্তিমূলক।
প্রায় দুই দশক ধরে চলা স্বৈরশাসনকে পরাজিত করবার পরে এখন জাতি হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, এবং জাতীয় পুনর্গঠনের পথে যাত্রা শুরু করতে। এই সময় আমাদের অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের লোকেদের বিরুদ্ধে ভারতের গদি মিডিয়ার অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উৎপাদনে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং এই দানবীয় প্রপাগান্ডা-যন্ত্র এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গদি মিডিয়ার এই আক্রমণের কারণ জাতি হিসেবে আমরা এখন ভারতের আধিপত্যের বাইরে এসে আমাদের স্বাধীন পথে যাত্রা শুরু করেছি আবার।
গদি মিডিয়ার এই কুচক্রী অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা তৈরি করা, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত-গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জাতীয় পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেশবাসীর প্রতি এবং গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনাদের দেশে ও দেশের বাইরে যে যেখানেই থাকুন না কেনো, আপনারা সবাই বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের শক্তি এবং আমরা সবাই মিলে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে রক্ষা করবো।
১. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী
২. অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানসুর, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩. লতিফুল ইসলাম শিবলী, গীতিকার ও অ্যাক্টিভিস্ট
৪. সুমন রহমান, লেখক ও অধ্যাপক
৫. জিয়া হাসান, অর্থনীতিবীধ ও লেখক
৬. ড. মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সম্পাদক, দ্য মিরর এশিয়া
৭. বখতিয়ার আহমেদ, অধ্যাপক, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ
৮. কাজল শাহনেওয়াজ, কবি
৯. ড. হাসান আশরাফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১০. আহমাদ মোস্তফা কামাল, লেখক
১১. সায়েমা খাতুন, স্বাধীন নৃবিজ্ঞানী, যুক্তরাষ্ট্র
১২. স্বাধীন সেন, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. ড. সাইমুম পারভেজ, প্রভাষক, ডয়চে ভেলে ও বন রেইস-সেইজ ইউনিভার্সিটি
১৪. পাভেল পার্থ, গবেষক ও লেখক বাস্তুসংস্থান ও বৈচিত্র্য
১৫. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী
১৬. মাহবুব সুমন, গবেষক
১৭. ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক ও অনুবাদক
১৮. দেবাশীষ চক্রবর্তী, শিল্পী ও লেখক
১৯. আ আল মামুন, অধ্যাপক গণ যোগাযোগ ও সংবাদিকতা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২০. সুস্মিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২১. ড. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২২. আর রাজি, শিক্ষক, সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৩. মাহাবুব রাহমান, প্রকাশক, আদর্শ
২৪. তুহিন খান, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট
২৫. মিছিল খন্দকার, কবি ও সাংবাদিক
২৬. ইসমাইল হোসেন, সাংবাদিক
২৭. নাহিদ হাসান, কবি ও গণ বুদ্ধিজীবী
২৮. গাজী তানজিয়া, লেখক
২৯. কাজী জেসিন, সাংবাদিক
৩০. মৃদুল মাহবুব, কবি ও লেখক
৩১. ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকার কর্মী
৩২. ড. মো. হাবিব জাকারিয়া, অধ্যাপক, নাটক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৩. শাহতাব সিদ্দিক অনিক, সাংবাদিক
৩৪. ইমরুল হাসান, কবি ও সমালোচক
৩৫. শাহনাজ মুন্নি, লেখক ও সাংবাদিক
৩৬. সালাহ উদ্দিন শুভ্র, লেখক
৩৭. মিশায়েল আজিজ, উদ্যোক্তা
৩৮. সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ
৩৯. পারভেজ আলম, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট
৪০. আরিফ রহমান, লেখক ও সাংবাদিক
৪১. মোহাম্মদ রোমেল, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক
৪২. কামরুল আহসনা, লেখক
৪৩. জিয়া হাশান, লেখক ও অনুবাদক
৪৪. আলতাফ শাহনেওয়াজ, কবি
৪৫. শরত চৌধুরী, অ্যাকাডেমিক ও গবেষক
৪৬. বায়েজিদ বোস্তামি, কবি
৪৭. পার্থিব রাশেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
৪৮. কাজী জেসিন, সাংবাদিক
৪৯. দীপক কুমার গোস্বামী, অভিনেতা, নির্মাতা এবং নাট্যকার
৫০. জি এইচ হাবিব, শিক্ষক ও অনুবাদক
৫১. আবুল কালাম আল আজাদ, লেখক ও গবেষক
৫২. আলমগীর স্বপন, রাজনৈতিক সম্পাদক, যমুনা টিভি
৫৩. সারোয়ার তুষার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট
৫৪. এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট
কেকে/এজে