ফেনীতে দাবীকৃত ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে আহনাফ আল মাঈন নাশিত (১০) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৮ ডিসেম্বর রাতে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাত (২০)।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু আহনাফ ফেনী একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মাইন উদ্দিন সোহাগের ছেলে ও ফেনী গ্রামরা স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্র।
আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, আহনাফ নাশিত গত ৮ ডিসেম্বর সহপাঠীদের সাথে ফেনী শহরের একাডেমি আতিকুল আলম সড়কে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি।
পুলিশ জানায়, নিহত নাশিতের বড় ভাই নিশাতের বন্ধু তুষার ফুঁসলিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে রাত বারোটার দিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ভিকটিমের পিতা মাঈন উদ্দিনের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।
এদিকে নিখোঁজের পর থেকে নাশিতের বাবা মাঈন উদ্দিন সোহাগের কাছে একটি নাম্বার থেকে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মাঈন উদ্দিন এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় পুলিশ আসামি আশরাফ হোসেন তুষারকে আটক করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ থেকে নাশিতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিখোঁজ আহনাফ নাশিতের বাবা মাইন উদ্দিন সোহাগ লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
কেকে/এমআই