৩২১ রান স্কোরকার্ডে তুলে ফেলার পর মনে হচ্ছিল সিরিজের শেষটা অন্তত জয়ের সুখ স্মৃতি নিয়ে করতে পারবে বাংলাদেশ। পরিসংখানও দেখাচ্ছিল স্বপ্ন। সেন্ট কিটসে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই।তবে সিরিজ জুড়ে বিবর্ণ বোলররা এত বড় টার্গেটও ডিফেন্ড করতে পারলেনা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতল অনায়াসে ড্র।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ। সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলির ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।স
বড় টার্গেট তাড়ায় অভিষেক ম্যাচে আমির জাঙ্গুর অপরাজিত ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের ভর করে ৪ উইকেটর জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা।
সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। পর সবশেষ ২০২১ সালে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।
শেষদিকে খেই হারালেও ক্যারিবীয়দের শুরুতে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। জয়ের জন্য ৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর ক্যারিবীয়রা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিল না। এমন সময় নামে বৃষ্টি। ৭.৪ ওভারে ৪৯ রানে থাকা অবস্থায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়। ২৪ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। তবে বিরতির এই সময়টায় টিকে থাকার সাহস সঞ্চয় করে মাঠে নামে স্বাগতিকরা।
যার প্রতিফলন দেখা গেলো কিসি কার্টির সঙ্গে শেরফানে রাদারফোর্ডের ৫৫ রানের জুটিতে। এরপর কিসি কার্টি এবং আমির জাঙ্গু মিলে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। ৯৫ রানে কিসি কার্টি আউট হলে জয়ের আশা জেগে ওঠে; কিন্তু আমির জাঙ্গু প্রথমে রস্টোন চেজের সঙ্গে ১৬ রানের এবং সর্বশেষ গুদাকেশ মোতির সঙ্গে অপরাজিত ৯১ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। গুদাকেশ মোতি করেন ৩১ বলে ৪৪ রান।
এর আগে ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। আলজেরি জোসেফের প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ব্রান্ডন কিং স্লিপে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। শূন্য রানে জীবন পান সৌম্য।
তবে আলজেরি জোসেফের পরের ওভারে পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে শূন্য করেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।এক বল পর লিটন দাসও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন, অনেক বাইরে বলে শট খেলতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন ২ বলে ০ করে। ৯ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ১৩৬ রানের বড় জুটি গড়েন মিরাজ আর সৌম্য। মিরাজ চলতি সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। সৌম্যও পান প্রথম ফিফটির দেখা। ০ ও ৪৫ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭৩ করে আউট হন। মিরাজ ফেরেন ৭৭ করে।
কেকে/এআর