চুয়াডাঙ্গায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনে সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
আজ (১৩ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রায় পারদও নামতে পারে আরও।
গৃহবধূ আসমাউল হুসনা বলেন, ভোর আর সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধ পাচ্ছে। বাচ্চাকে সব সময় গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হচ্ছে। বাচচাকে নিয়ে চিন্তিত আমি।
রিক্সা চালক খোকন মিয়া বলেন, শীতের কারনে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরেও সংসার চালাতে হলে বের হতেই হবে। শীত নিবারণে জন্য পুরানো কাপড়ের দোকানের উপর ভরসা করতে হচ্ছে।
কেকে/এআর