চলতি বছর ৫ ওয়ানডে খেলে ৩টিতেই কোনো রান করেননি লিটন। চলতি বছর ওয়ানডেতে তার রান ৬। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে লিটনের ডাকের সংখ্যা এখন ১৫টি।
০, ০, ২, ৪, ০-চলতি বছর লিটন দাসের ওয়ানডে ইনিংস এগুলো। ব্যাট হাতে অধারাবাহিকতাকেই ধারাবাহিকতা বানিয়ে ফেলেছেন লিটন। সবশেষ ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আর তাতেই বিব্রতকর এক রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে তার। চলতি বছর তৃতীয় ডাক মেরে এই রেকর্ডে নাম তুলেছেন লিটন।
ডাকের মাশরাফি, আশরাফুল ও মোহাম্মদ রফিককে ছুঁয়ে ফেলেছেন লিটন। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেই তাদের এই ডাকের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছেন লিটন। বাকিদের যেখানে ১০০টির বেশি ওয়ানডে খেলতে হয়েছে সেখানে লিটন ৯৩ ইনিংসে এটি করেছেন।
এ তালিকায় বাংলাদেশের সবচেয়ে ওপরে তামিম ইকবালের নাম। ২৪০ ইনিংসে রেকর্ড ১৯টি ডাক মেরেছেন তামিম। পরের অবস্থান হাবিবুল বাশারের। ১০৫ ইনিংসে এই ব্যাটারের ডাক সংখ্যা ১৮টি। তাদের রেকর্ডই এখন ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে লিটন।
লিটন অবশ্য ওয়ানডেতে অনেক দিন ধরেই ছন্দে নেয়। সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছেন ভারত বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে। এর পর থেকেই ব্যাট হাতে ধুকতে হচ্ছে তাকে। মাঝে বছরের শুরুতে নতুন বলে ব্যর্থতার কারণে শ্রীলংকা সিরিজের মাঝপথে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পাঠানো হয় আবাহনীর হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সেখানেও লিটন খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। ছন্দহীন সেই অবস্থাতেই শেষ করছেন বছরটা। এরপর আবারও দলে ফেরেন। তবে ব্যর্থতা কাটাতে পারেননি।
চলতি বছর লিটনের ডাক ৩টি। এই তালিকায় লিটনের সঙ্গে আছে জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি, শ্রীলঙ্কার আভিস্কার ফার্নান্দো এবং নেদারল্যান্ডসের মাইকেল লেভিটের নাম। তবে সর্বোচ্চ ৫টি শূন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিকীর। ১০ ইনিংসের ৫টিতেই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন আরব আমিরাতের এই ব্যাটার।
উল্লেখ্য, লিটন দাসের এমন বিব্রতকর রেকর্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের টার্গেট ছুড়েও ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সঙ্গে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
কেকে/এআর