প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:০৮ পিএম আপডেট: ১৩.১২.২০২৪ ৩:১২ পিএম (ভিজিটর : ১০২)
ছবি: প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এই দেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দেশ। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভিন্নধর্মের নেতৃবৃন্দ যে ধরণের ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করেছেন সেজন্য তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত সংখ্যালঘু কার্ড খেলতে চেয়েছিল। আমরা বার বার বলেছি এদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে আর কোন বিভক্তি চাইনা। এর প্রতিফলন গোটা বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বিভক্তির বদলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানে সিলেট জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। জামায়াত কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি, কেবলই আল্লাহর কাছে মাথা নত করেছে। যার ফলাফল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতন। আমরা চাঁদাবাজী-দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতেও দেবনা। এজন্য জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সর্বত্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই।
জামায়াত আমীর বলেন, ২০০৬ সালে লগি বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বর্বর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। দীর্ঘ ১৬ বছরে তারা ইতিহাসের বর্বর ও আগ্রাসী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে গণধিকৃত একটি দলে পরিনত হয়েছে। তাদেরকে জনগণ চায় কিনা সেটা শহীদ ও আহতদের এবং তাদের পরিবারকে জিজ্ঞেস করলেই বুঝা যাবে। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি কখনো আনসার লীগ, কখনো রিক্সালীগ, কখনো চাকুরী লীগ আবার কখনো ইসকন লীগ রুপে ফিরে এসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছি। তারা শেষমেষ ধর্মীয় দাঙ্গার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষ আরো বেশী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন, সহকারী সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ দেড় যুগ পর সিলেটে প্রকাশ্যে সম্মেলন করল দলটি। সকাল ১০টায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হলেও ভোর হতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় আলিয়া ময়দান। সম্মেলন শুরুর আগেই আলিয়া মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
কেকে/এআর